আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪?
আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস ২০২৪ ?আপনি কি জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ধারালো অস্ত্র কি? হ্যাঁ আপনি ঠিকই
শুনেছেন আর সেটি হলো একজন শিশুর অধিকারের হাসি। কিন্তু আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার
দিবস ২০২৪? কবে পালিত হবে এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি
আপনাদের জন্য।
আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? এবং
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস কেন পালন করা হয় এই বিষয় নিয়ে। তাই
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার
দিবস ২০২৪? সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪?
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস বর্তমানে সারা বিশ্বে মূলত শিশুদের অধিকার ও
সুরক্ষার গুরুত্বকে নিশ্চিত করার জন্য পালিত একটি বিশেষ দিন। কিন্তু আন্তর্জাতিক
শিশু অধিকার দিবস কি এবং আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? কবে পালিত হবে এই
বিষয় সম্পর্কে অনেকে সঠিক তথ্য জানেনা। তবে আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি
আরো পড়ুনঃ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৪?
মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? বিস্তারিত
সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসে যেখানে
একজন শিশুর অধিকারের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের
প্রতিটি দেশে প্রতিবছর ২০শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস
এই দিনটি বিশ্বব্যাপির কাছে গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করে। তাই আন্তর্জাতিক শিশু
অধিকার দিবসটি জাতিসংঘের কর্তৃক ১৯৫৪ সালে প্রতিটি শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার
জন্য জাতিসংঘের কাছ থেকে এই সনদটি গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার
দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য বা মূল লক্ষ্য হলো
শিশুদের
সকল ধরনের অধিকার সুরক্ষা করা, তাদের শারীরিক এবং মানসিক সহ সামাজিক উন্নয়ন
নিশ্চিত করা। আর এই জন্যই ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ সকল শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার
জন্য একটি সনদ অনুমোদন করেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় সকল শিশুদের সার্বিক কল্যাণে
নতুন যুগের সূত্রপাত ঘটে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসের
মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল সকল শিশুদের প্রতি দারিদ্রতা সহিংসতা এবং বৈষম্যের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সচেতন বৃদ্ধি করা সহ শিশুদের জন্য সুন্দর ও উজ্জ্বল
ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সকলকে একত্রিত ভাবে এই প্রচেষ্টার অগ্রাধিকার প্রদান
করা।
শিশু অধিকার দিবসের তাৎপর্য
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস মূলত কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক দিন নয় বরং এটি
প্রত্যেক শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের প্রতি আমাদের দায়-দায়িত্বের
কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এই আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসে। অর্থাৎ প্রত্যেক শিশুরই
যেমন জন্মগত অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা খাদ্য বস্ত্র নিরাপত্তা
সকল কিছুরই অধিকার রয়েছে।
বর্তমানে অধিকাংশ শিশু এ সমস্ত মৌলিক অধিকার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ
করে দরিদ্র এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে জন্ম নেওয়ার শিশুরা তাদের অধিকার থেকে
বঞ্চিত। কেননা প্রত্যেক শিশুরা হচ্ছে আমাদের সমাজের জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তাদের
সুরক্ষা রাখা আমাদের প্রত্যেকের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। তাই সকল শিশুদের প্রতি
সঠিকভাবে পুষ্টি শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা এবং সামাজিক মর্যাদা অধিকার থাকা
উচিত। কেননা এই সমস্ত অধিকার গুলোর মাধ্যমে একজন শিশু সমাজে সুষ্ঠুভাবে নিজেকে
গড়ে উঠতে পারবে। তবে এই অধিকারগুলো রক্ষা করা কেবলমাত্র রাষ্ট্রের কোন ধরনের
দায়িত্ব না বরং এর পিছনে পরিবার সমাজ এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে
এগিয়ে নেওয়া যায়।
তাই আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি হল, প্রতিটি
শিশুদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক দিকগুলো কল্যাণের দিকে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে
কোভিড- ১৯ পরবর্তী সময়ের শিশুদের জন্য শিক্ষাগত এবং মানসিক স্বাস্থ্য দিকগুলো
চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করতে হবে।
বিশেষ করে নতুন যুগের প্রতিটি শিশুদের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত এবং তাদের
সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য বিশ্বজুড়ে সচেতন তৈরি করা হবে এই বছরের মূল
প্রতিপাদ্য লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? বিশ্বজুড়ে সকল শিশুদের অধিকার সুরক্ষা এবং
তাদের উন্নয়নের সঠিক দিক নির্দেশনা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবছর ২০শে নভেম্বর
যথাযথ মর্যাদা সহকারে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৫৪ সালে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটি উদযাপনের
প্রস্তাব দেয়।
তাই সকল শিশুদের নিরাপত্তার সুরক্ষা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮৯
সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়। এই মূল সনদটি তখন থেকে
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি মূল দলিল হিসেবে পরিণত হয়। তবে এই শিশু
অধিকার সনদটি প্রতিটি শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং তাদের উজ্জ্বল
ভবিষ্যৎ ও আদর্শবান জাতি হিসেবে নিশ্চিত করার উদ্বেগ গ্রহণ করা। আজকের শিশু আগামী
দিনের আদর্শবান জাতি এবং সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর নক্ষত্র। তবে আন্তর্জাতিক
শিশু অধিকার সনদটি মূলত ৫৪ টি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার ও
সুরক্ষার নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য নীতিমালা গুলো
হল,
প্রতিটি শিশুদের স্বাস্থ্য অধিকার, শিক্ষার অধিকার, সুরক্ষার অধিকার, এবং সমাজের
অংশগ্রহণের অধিকার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটি সূচনা থেকে শুরু করে
আজ পর্যন্ত সকল শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য অনেক উন্নতি সম্ভব
হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসের
সনদটি মেনে চলার জন্য তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
তবে এখনো বিশ্বের বিভিন্ন কিছু কিছু দেশে অর্থাৎ দরিদ্রতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায়
শিশুদের তাদের উপযুক্ত অধিকার থেকে তারা এখনো বঞ্চিত। আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার
দিবস ২০২৪? বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রসার এবং সামাজিক জনসচেতন তার
কারণে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তবে অধিকাংশ শিশুদের
ক্ষেত্রে এখনো দেখা যায়,
শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম এবং শিক্ষার অভাবসহ, সুরক্ষার অধিকার থেকে
তারা বঞ্চিত। তাই আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হল শিশুদের
জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনসাধারণের সচেতন হওয়া
প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস টি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিটি
শিশু নিরাপদ
সুখী এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে। অর্থাৎ তাদের সকল ধরনের
স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা শুধুমাত্র সামাজিক দায়িত্ব নয়
বরং আমাদের নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস কেন পালন করা হয়
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটি বিশ্বব্যাপীর কাছে প্রতিটি শিশুদের জন্য অধিকার
রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে উপলক্ষ। বিশেষ করে এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য
হলো প্রতিটি শিশু যেন তাদের মৌলিক অধিকার ও সুরক্ষা থেকে যেন বঞ্চিত না হয়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪? বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালন করা
হয়।
আরো পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪?
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের সুশীল
সমাজে প্রতিটি শিশুকে দায়িত্বশীল ভাবে তৈরি করা, তাদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার
সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সমাজে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের
জন্য অংশগ্রহণের সম্মতি প্রদান করা। কেননা আজকের শিশুরা হচ্ছে আগামী দিনের জাতির
জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ।
অর্থাৎ একজন শিশুর প্রতি সুষ্ঠু বিকাশের মাধ্যমে সমাজে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক
পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তাই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটির পালনের
জন্য জনসচেতন বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে গ্রহণ করা। যাতে করে
প্রতিটি শিশু যেন তাদের প্রাপ্য অধিকার এবং সুযোগ থেকে যেন কোনভাবে বঞ্চিত না
হয়।
তবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো শিশুদের
সুরক্ষার অধিকার, শিক্ষার ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা এবং বৈষম্য মুক্ত জীবন যাপন
নিশ্চিত করার আসল উদ্দেশ্য। আর এই জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুদের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল অবস্থা যেমন শিশু শ্রম, বাল্যবিবাহ, অপুষ্টি এবং শিক্ষার
অভাব দূরীকরণ করার জন্য সরকার
সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।, যাতে করে
প্রতিটি শিশু এই সমস্ত প্রতিকূল অবস্থাতে কোনভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসটি কেবলমাত্র শিশুদের অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিত করা
নয় বরং এই দিবসে প্রতিটি শিশুদের তাদের কথা শোনা এবং কল্যাণের জন্য পদক্ষেপ
নেওয়ার একটি সম্মানিত প্রচেষ্টা করতে হবে। আর এই জন্য প্রতিবছর ২০শে নভেম্বর এই
দিনটি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
লেখকের শেষ কথাঃ আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪?
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি,আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস
২০২৪? এ বিষয় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনারা আন্তর্জাতিক শিশু
অধিকার দিবস ২০২৪? এই সম্পর্কে জেনেছেন। আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস ২০২৪?
আবারও আমাদেরকে এই দিনটি স্মরণ করে দেয় প্রতিটি শিশুদের অধিকার রক্ষা করা
কেবলমাত্র
সামাজিক দায়িত্ব নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক অঙ্গীকার। ২০২৪ সালে এই শিশু অধিকার
দিবসটি পালনের মাধ্যমে সকল শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্বশীলতা আরো গভীর হবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে
আপনার আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি এই বিষয় নিয়ে
শেয়ার করবেন এবং তাদেরকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিবেন। এইরকম সুন্দর সুন্দর টিপস
পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url