হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

মেয়েদের মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ হাত-পা জ্বালাপোড়া কথাটি শুনতে যেমন অনেকে অস্বস্তি ও বিরক্তিকর অনুভূতি জাগে। তেমনি হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে অনেকে জানে না। কিন্তু কেনই বা আমাদের হাত-পা জ্বালাপোড়া করে, কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে এর পিছনে। হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়
আজকের এই পোস্টে আমরা হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় এবং কি খেলে শরীর জ্বালাপোড়া কমবে? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

পোস্ট সূচিপত্রঃ

হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

হাত পায়ের জ্বালাপোড়া প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে এটি অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা। যা অনেক সময় মানুষ প্রতিনিয়ত এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত এবং বিরক্ত পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে, হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কি কি পদক্ষেপ রয়েছে। তাই আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ পড়েন, তাহলে আপনি হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। কেননা হাত পা জ্বালাপোড়া করার পিছনে যে সমস্ত সমস্যার কারণ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো যে, শরীরের মধ্যে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা এবং কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

অনেক সময় হাত পা জ্বালাপাড়া সমস্যার কারণে হাত এবং পায়ের তীব্র অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং পুড়ে যাওয়ার মতো তীব্র উত্তাপ হয় ও কখনো কখনো শরীরে ঝিনঝিন অনুভূতি অনুভব করা যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাত্রা ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার প্রভাব ফেলে।
তাই সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করা এবং তার প্রতিকার করা আমাদের প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। অর্থাৎ হাত পা জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা এবং কিছু কার্যকরী উপায় অবলম্বন করা। আজকের এই আর্টিকেল আমরা হাত পায়ের জ্বালাপোড়ার কারণ এবং হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।

হাত পা জ্বালাপোড়া প্রধান কারণ

  • ডায়াবেটিস কিংবা স্নায়জনিত সমস্যা।
  • শরীরের রক্ত সঞ্চালন জনিত সমস্যা।
  • ভিটামিনের অভাবে সমস্যা।
  • মানসিক চাপের সমস্যা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করলে।

উপরের এই সমস্যা গুলো হাত পা জ্বালাপোড়া বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যা এগুলো সরাসরি শারীরিক এবং স্নায়বিক সমস্যার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। এমনকি ডায়াবেটিস, সঠিক পরিমাণে পুষ্টির ঘাটতি, স্নায়জনিত সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ এই ধরনের সমস্যা কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এ সমস্যার জন্য সঠিক কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

হাত ও পায়ে ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়াঃ
আপনার হাতে কিংবা পায়ে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি হাত ও পায়ে ঠান্ডা পানির সে প্রয়োগ করলে আপনার জ্বালাপোড়া দ্রুত কমতে থাকবে। কেননা ঠান্ডা পানি দিয়ে সেঁক দিলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন গুলো দ্রুত উন্নত হয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা নিরসন ঘটে। যা তাৎক্ষণিকভাবে আপনি এই সমস্যা থেকে আরাম পেতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগঃ
বর্তমানে অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক শীতলিকরণ অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। বিশেষভাবে আপনি যদি হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়া ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে নিলে আপনার জ্বালাপোড়া দ্রুত কমবে এবং আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লবণের পানিতে পা ডুবিয়ে রাখাঃ
হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে আপনি চাইলে হালকা গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে তাতে যদি হাত ও পা ডুবিয়ে রাখেন, তাহলে আপনার জ্বালাপোড়ার সমস্যা দ্রুত কমবে। কেননা লবন মিশ্রিত পানি শীতলতা এবং প্রদাহরোধী গুণাবলীর জন্য স্নায়ুকে আরাম এবং প্রশস্তি এনে দেয়।

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ
হাত পা জ্বালাপোড়ার পিছনে ভিটামিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যের ঘাটতির কারণে এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। অনেক সময় ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন বি৬ এর কারণেও হাত পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার এবং শস্যজাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

নারিকেল তেল মাখাঃ
হাত পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে নারিকেল তেল অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রতিকারের মাধ্যম। তাই আপনি যদি আপনার হাত পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করার জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা নারিকেল তেল ত্বকের শীতলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে আদ্র রাখে যার ফলে জ্বালাপোড়া সহজে কমে যায়।

ডাক্তারের পরামর্শঃ
যদি উপরের এই উপায়গুলো কার্যকর না হয় কিংবা সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ গুলো সঠিকভাবে কার্যক্রম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় ক্ষেত্রে ভিটামিনের ভূমিকা অতুলনীয়। প্রতিটি ভিটামিনের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং কাজ রয়েছে যা, কেবলমাত্র আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে সুস্থ ও কার্যক্ষম রাখার জন্য সহায়তা করে থাকে।
আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ভিটামিনের অভাব হলে, সেক্ষেত্রে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া সহ স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাগুলো বেশিরভাগ ভিটামিন অভাবের কারণে হয়ে থাকে। আর এই ধরনের সমস্যার কারণে আমাদের দৈনিক জীবনের স্বাভাবিকভাবে কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সৃষ্টি করতে পারে। 

তবে এক্ষেত্রে যদি আমরা সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং ভিটামিনের অভাব গুলো পূরণ করি তাহলে দ্রুত এ ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে। তাই আসুন আমরা এক নজরে দেখে নিই হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় জন্য কোন কোন ভিটামিনের ভূমিকা অপরিসীম।

ভিটামিন বি১২ অভাবে
ভিটামিন বি১২ আমাদের শরীরে স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করার পিছনে তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোনক্রমে যদি আমাদের শরীরে ভিটামিন বি১২ অভাব দেখা দিলে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া এবং আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপের বিঘ্ন সৃষ্টি করে থাকে।

ভিটামিন বি৬ অভাবে
ভিটামিন বি ৬ মূলত আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তার অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ভিটামিন বি ৬ অভাবে আমাদের হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া সৃষ্টির অন্যতম কারণ হতে পারে।

ভিটামিন বি১ অভাবে
ভিটামিন বি১ অভাবে আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হতে পারে। যার ফলে আমাদের শরীরে হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া সহ পেশিতে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি অনুভব করা যায়। আর এই ধরনের সমস্যার জনিত সমস্যা হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

কি খেলে শরীর জ্বালাপোড়া কমবে?

প্রতিটি মানব দেহের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় এবং কি খেলে শরীরের জ্বালাপোড়া কমবে? এ বিষয়ে সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া অনুভব করা যায়। এক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা গুলো
হল স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে কিংবা শরীরের মধ্যে ভিটামিনের ঘাটতি হলে, এই সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ করা যায় শুধুমাত্র সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যদি খাওয়া হয় তাহলে, শরীরের জ্বালাপোড়া দ্রুত কমতে পারে। আর এই জন্য শরীরের জ্বালাপোড়া কমানোর

ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট খাবারগুলো উপকারী হতে পারে। যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম গুলোকে উন্নত এবং শরীরের মধ্যে বিরক্তিকর অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। তাই আসুন আমরা জেনে নিই কোন কোন খাবার খেলে আমাদের শরীর থেকে দ্রুত জ্বালাপোড়া কমবে।

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ অর্থাৎ ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন বি১২ এই ভিটামিন গুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে এই সমস্ত ভিটামিনের অভাবে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সহ হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই হাত ও জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে খেতে হবে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার হল,

  • ডিম
  • দুধ
  • মাংস
  • মাশরুম
  • বাদাম

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার
বর্তমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গুলো আমাদের শরীরের বিশেষ করে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা উন্নত করার পিছনে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার ভুমিকা অপরিসীম। আমরা যদি নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খায় তাহলে, আমাদের হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া সহ স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যাগুলো দ্রুত নিরসন ঘটবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার ওগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো,

  • চিয়া বীজ
  • আখরোট
  • স্যামন মাছ

ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো সাধারণত আমাদের শরীরে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতাকে আরো বেশি উন্নত করে। কিন্তু আমরা যদি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সহ হাত পেড়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই হাত পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে আমাদের উচিত ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে,
  • পালং শাক
  • কলা
  • বাদাম
  • এভোকাডো

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি মূলত আমাদের ন্যায় তন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা রক্ষা করার পাশাপাশি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে আমরা যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি নিয়মিত খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরের মধ্যে জ্বালাপোড়া সমস্যাগুলো দ্রুত হ্রাস পাবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • স্ট্রবেরি
  • ব্রকলি
  • লেবু এবং সাইটাস জাতীয় ফল
  • পালং শাক

প্রচুর পানি পান করা
আমাদের শরীরকে প্রতিনিয়ত হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ আমাদের শরীরের মধ্যে যদি পানির পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা। যাতে করে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা গুলো দূর হওয়া।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রোটিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষগুলোকে মেরামত এবং পুনর্গঠনের জন্য সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম গুলো উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। আর এই সমস্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জ্বালাপোড়া দ্রুত কমবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • সয়াবিন
  • মাছ
  • ডিম
  • ডাল
  • মুরগির মাংস

লেখকের শেষ কথাঃ হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি,হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় এ বিষয় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনারা হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় এই সম্পর্কে জেনেছেন। তাই আপনি যদি সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চলেন তাহলে হাত পা জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
তবে, হাত-পা জ্বালাপোড়া সমস্যা যদি গুরুতর হয় বা সমস্যাগুলো দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি এ বিষয়ে নিয়ে শেয়ার করবেন এবং তাদেরকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিতে পারেন। 

এইরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url