বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়?
শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণপ্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন, বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? আপনি যদি
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? এই বিষয় না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের
পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? এ
বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু নিউমোনিয়ার কারণে মারা যাওয়ার পেছনে
কি এমন সমস্যা রয়েছে এবং বছরের কোন সময় নিউমোনিয়া সবচেয়ে বেশি হয়? এই বিষয়
সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন
পোস্ট সূচিপত্রঃ
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়?
নিউমোনিয়া একটি গুরুতর শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ রোগ, যা বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর
লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিমিষে হরণ করে এই প্রাণঘাতী নিউমোনিয়া রোগটি। কিন্তু
অনেকে রয়েছে যারা, বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? এই বিষয় সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জানেনা। তাই বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? এ বিষয়ে
সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে,
আরো পড়ুনঃ হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়
আপনাকে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। বিশেষ করে শিশুসহ
বয়স্ক ব্যক্তিরা এই নিউমোনিয়া রোগের প্রধান শিকার। তবে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিশু
এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা এবং
উপযুক্ত সেবা না পেলে তাদের জীবন হুমকির মুখে প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই নিউমোনিয়া সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা এবং এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সঠিক
চিকিৎসা ও উপযুক্ত যত্নের মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী সহজে নিরসন করা যায়। আর এই জন্যই
প্রতিবছর ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন করে। এই দিনটি
নিউমোনিয়া দিবসটির পালনের উদ্দেশ্য সকল জনসাধারণকে নিউমোনিয়াম সম্পর্কে সচেতন
করা এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে সময় মত সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা। তবেই এ রোগের
ভয়াবহতা এড়ানো সম্ভব।
নিউমোনিয়া দিবস কেন পালন করা হয়?
সমগ্র বিশ্বব্যাপী শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বর্তমানে নিউমোনিয়া একটি
সংক্রমণ রোগ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে মৃত্যু অনিবার্য।
বিশেষ করে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নিউমোনিয়া রোগটি সবচেয়ে বেশি
প্রাণঘাতী সংক্রমণ। যদিও আধুনিক যুগে নিউমোনিয়া রোগের বিভিন্ন চিকিৎসা ও
প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষণ
বিদ্যমান থাকার ফলেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিশু সহ প্রাপ্তবয়স্করা
আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। তাই নিউমোনিয়া সম্পর্কে সকল জনসাধারণের প্রতি সচেতন
বৃদ্ধি এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ১২ই নভেম্বর এই
দিনটি যথাযথ মর্যাদা সহকারে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উদযাপন করে। বিশেষ করে এই
দিনটি পালনের একমাত্র মূল উদ্দেশ্য
হচ্ছে সকল মানুষকে নিউমোনিয়া প্রাণঘাতী রোগটি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা এবং যারা
এই রোগে আক্রান্তে শিকার হয়েছে তাদের পাশে থেকে সহায়তা প্রদান করা। কিন্তু
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়? এবং নিউমোনিয়া দিবস কেন পালন করা হয়
এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদেরকে নিচের দেওয়া তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে
অনুসরণ করুন।
সচেতনতা বৃদ্ধি
নিউমোনিয়া রোগটি কেন মারাত্মক ও সংক্রামন এবং জনসাধারণের প্রতি সচেতন বাড়ানোর
জন্য এই দিবসটি পালিত হয়। বর্তমানে অনেক মানুষই রয়েছে যারা নিউমোনের রোগটি কি ও
এ রোগের গুরুত্ব কতটুকু এবং এ রোগের সঠিক চিকিৎসা না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে
সে সম্পর্কে তারা সচেতন না। তাই নিউমোনিয়া রোগটি সম্পর্কে সকল জনসাধারণের প্রতি
সচেতনমূলক উদ্দেশ্য বৃদ্ধি করা এবং এ রোগের যেকোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখামাত্রই
দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ উচিত।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রচার
বর্তমানে নিউমোনিয়া রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এই দিবসটির প্রতিরোধমূলক
পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিরসন করা যেতে পারে। যেমন টিকা গ্রহণ করা হাত ধোয়া এবং
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন জনসাধারণের কাছে প্রচার করা। এছাড়াও বিশেষ করে শিশুদের
জন্য পিসিভি টিকা গ্রহণ করা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পিপিএসভি ২৩ টিকা গ্রহণ
করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক চিকিৎসার গুরুত্ব
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস সম্পর্কে সকল মানুষকে সঠিক চিকিৎসার সম্পর্কে অবগতভাবে
জানানো উচিত। কেননা নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক
সহ ওষুধের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করা। এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যদি
কোনভাবে বিলম্ব হয়ে যায় তাহলে, নিউমোনিয়া রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
যা শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই রোগের
সম্পর্কে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা ব্যাপারে সকলকে সচেতন হওয়া উচিত।
সামাজিক এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ
বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্তমানে নিউমোনিয়া রোগটি একটি বিশাল স্বাস্থ্য
চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই দিবসটির মাধ্যমে সেসব চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে
যাতে করে সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলো আরো বেশি অর্থ ও সহযোগিতা
প্রদানের মাধ্যমে এর রোগের নিরসন করতে আগ্রহী হয়।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকার গুরুত্ব
নিউমোনিয়া রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র কার্যকর উপায় হল টিকা গ্রহণ করা। বিশেষ করে
শিশুদের জন্য পিসিভি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা গ্রহণ করা হলে নিউমোনিয়াম প্রাণঘাতী
রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে বিশ্ব নিউমোনিয়াম দিবস পালনের মাধ্যমে এসব টিকার
গুরুত্ব এবং এর ব্যাপক প্রচার জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে এ
রোগের সম্পর্কে সচেত হওয়ার পাশাপাশি বয়স্ক এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল ব্যক্তির
জন্য টিকার ভূমিকা অপরিসীম।
মারাত্মক নিউমোনিয়া চিকিৎসা না করা হলে কি হতে পারে?
নিউমোনিয়া একটি দ্রুত শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিশেষ করে এই রোগটি ফুসফুসের সংক্রমণ
ঘটিয়ে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এবং ফাঙ্গাসের কারণে সৃষ্টি হতে পারে। যদিও প্রাথমিক
পর্যায়ে নিউমোনিয়া রোগটি চিকিৎসা করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু
যদি নিউমোনিয়া রোগটি অবহেলা করে চিকিৎসা না করানো হলে মারাত্মক অবস্থার রূপ নিতে
পারে ফলে প্রাণহানি হতে পারে।
মারাত্মক এই নিউমোনিয়া রোগটি অতি দ্রুত ফুসফুসের বিভিন্ন কার্যকারিতা নষ্ট করে
ফেলে এবং শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে মানবদেহে বিভিন্ন
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।এই প্রাণঘাতী রোগটি সঠিক চিকিৎসা না
করলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব মারাত্মক নিউমোনিয়া রোগটি
চিকিৎসা না করলে
কি কি সমস্যা হতে পারে এবং কেন দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এ বিষয়
সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল
ফুসফুসে ফোঁড়ার সমস্যা
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে এবং তার সঠিক চিকিৎসা না করালে ফুসফুসে ফোঁড়া
সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ফুসফুসে পুঁজ জমা হয় এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে
যেতে পারে। ফুসফুসে ফোঁড়ার সমস্যা কারণে শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্ক আক্রান্ত
ব্যক্তিরা প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের মধ্যে অক্সিজেনের শোষণের ক্ষমতা অক্ষম হয়ে
পড়ে। ফলে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা দিন দিন কমতে থাকে। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং মস্তিষ্ক এ রোগটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে। তাই এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি সঠিক চিকিৎসা সঠিক সময়ে গ্রহণ না
করলে এ প্রাণঘাতী রোগটি তাদের মৃত্যুর অনিবার্য কারণ হতে পারে।
ব্লাড ইনফেকশন বা সেপসিস সমস্যা
মারাত্মক প্রাণঘাতী নিউমোনিয়ার রোগটি ফুসফুস থেকে রক্ত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে
পারে, যার কারণে সমস্যা হতে পারে। তবে সেপসিস হল একটি প্রাণহানিকর সংক্রামক, এটি
শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গে সঠিক কার্যকারিতা হারাতে বাধ্য করে এবং এই রোগটি
তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা না করলে মৃত্যু অনিবার্য হতে পারে।
অর্গান ফেইলিয়ার সমস্যা
নিউমোনিয়া রোগে দীর্ঘ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি চিকিৎসা করানো না হয় তবে তার
শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হার্ট, লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে।
তবে বিশেষ করে বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই
নিউমোনিয়া রোগে তাদের ঝুঁকির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
বছরের কোন সময় নিউমোনিয়া সবচেয়ে বেশি হয়?
নিউমোনিয়া প্রাণঘাতী মারাত্মক রোগটি শ্বাসতন্ত্রের রোগ যা মূলত ব্যাকটেরিয়া
ভাইরাস এবং বিভিন্ন ফাঙ্গাল সংক্রমনের কারণে হয়ে থাকে। তবে এই রোগটি যখন
ফুসফুসের বায়ুথলিতে সংক্রমণ ঘটায় তখন শ্বাসকষ্ট সহ কাশি এবং জ্বরের মতো বিভিন্ন
ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। বর্তমানে নিউমোনিয়া রোগটি বছরের যে কোন সময়ে
প্রাদুর্ভাব হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
তবে বিশেষ করে শীতকালে এবং বর্ষার সময় নিউমোনিয়ার রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে
বেশি দেখা যায়। কেননা এ সময়ে চারদিকে শীতল আবহাওয়া এবং বাতাসের আর্দ্রতা কম
থাকার কারণে শ্বাস যন্ত্রের সংক্রামক রোগগুলো ঝুঁকি বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অর্থাৎ শীতকালে ঠান্ডা বাতাস এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে
মানুষের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ সহজেই
ফুসফুসে পৌঁছানোর মাধ্যমে নিউমোনিয়া রোগটি সৃষ্টি করে থাকে। এছাড়াও শীতকালে
চারিদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এবং ঘরের ভিতরে অধিক সময় কাটানোর ফলে
ভাইরাস ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া গুলো দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এই
সময়ে বিশেষ করে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিরা নিউমোনিয়া রোগের প্রবণতায় সবচেয়ে
ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা কে আবিষ্কার করেন?
নিউমোনিয়া হলো এক ধরনের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ রোগ, যা ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং
জীবননাশের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে এই রোগে সাধারণত শিশুসহ বয়স্ক
ব্যক্তিরা যারা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন তারা সহজে এই নিউমোনিয়া রোগে
আক্রান্ত হতে পারে। তবে শতাব্দি পর শতাব্দি ধরে মানবজাতির জীবনে নিউমোনিয়া
একটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি প্রচার ঘটনার মাধ্যমে নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসার
ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তাদের এই আধুনিক চিকিৎসা আবিষ্কারের পদ্ধতি
সকল মানুষের সুস্থ জীবনের পথ খুলে দিয়েছে। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা
হয়? এবং কিসের
জন্য এই দিবসটি মূলত পালন করা হয়। এছাড়াও নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা কে আবিষ্কার
করেছিলেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হলে আপনাকে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ রইল। নিউমোনিয়া প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত
পরিচিত একটি প্রাণঘাতী সংক্রমণ। তবে এর সঠিক চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছিল বিশ শতকের
প্রথম ভাগে।
আর এই জন্য নিউমোনিয়া রোগের প্রথম চিকিৎসার উল্লেখ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল
১৯২৮ সালে যেখানে স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন। কেননা
তখনকার সময়ে পেনিসিলিন ছিল বিশ্বের প্রথম এন্টিবায়োটিক ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
প্রতিরোধে কার্যকরী ঔষধ। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর পেনিসিলিম আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী
চিকিৎসা জগতের এক নতুন অগ্রগতির বিপ্লবী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এটি ছিল তার প্রথম
এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ চিকিৎসার আবিষ্কারের প্রথম ধাপ। তবে
ফ্লেমিং এর যুগান্তরকারী আবিষ্কার কেবলমাত্র নিউমোনিয়া রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার
দিক পরিবর্তন করে নেই বরং এটি আধুনিক যুগে এন্টিবায়োটিক সূচনা করে।
যা বর্তমানে বিভিন্ন সংক্রমণ জনিত রোগের চিকিৎসায় অপরিহার্য। আধুনিক যুগে
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসার ধরণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা প্রদান করা
হয়ে থাকে। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার
করা হয় যার মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন এবং অন্যান্য এন্টিবায়োটিক। ভাইরাস
নিউমোনিয়াম এর ক্ষেত্রে
এন্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং ফাঙ্গাল নিউমোনিয়াম এর ক্ষেত্রে
এন্টিভাঙ্গাল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তাই নিউমোনিয়াম চিকিৎসার আবিষ্কারের
ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার এবং
এন্টিবায়োটিক প্রচলন সমগ্র মানবজাতির জীবনে সংগ্রামী এক যুগান্তরে অধ্যায়ের
সূচনা করেছে।
এছাড়াও আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ও ঠিকাদানের মাধ্যমে নিউমোনিয়া
রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা অনেক বেশি সফল ও সহজ হয়েছে। তবে নিউমোনিয়াম রোগের
সচেতন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি মানুষ এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা পেতে
পারে।
লেখকের শেষ কথাঃ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন করা হয়?
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি,বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে পালন
করা হয়? এ বিষয় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনারা বিশ্ব নিউমোনিয়া
দিবস কবে পালন করা হয়?এই সম্পর্কে জেনেছেন। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আবারও
আমাদেরকে এই দিনটি স্মরণ করে দেয় সমগ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রাণঘাতী নিউমোনিয়া
রোগ কি এবং কিভাবে এর প্রতিকার করা যায় তা সকলরে নিকট জনসচেতন সৃষ্টি করা।আজকের
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার
আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি এই বিষয় নিয়ে শেয়ার করবেন এবং
তাদেরকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিবেন। এইরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url