শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান

শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণআপনি কি জানেন, শীত এলে ত্বক ফেটে যায় এবং টানটান করে কেন? কিন্তু আপনি যদি এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টে আমরা শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান
আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে, শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন নাইট ক্রিম ভালো এই সম্পর্কে জানতে হলে সমগ্র আর্টিকেলটির অংশে চোখ রাখুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান

শীতের ঋতুর আগমন মানে চারিদিকে ঠান্ডা বাতাসের শুষ্কতা আবির্ভাব ঘটা। যা এই সময়ে সহজে ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং ত্বককে আরো বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। কিন্তু শীতকালে শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যার কারণে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেকেই রয়েছে যারা কিভাবে সহজে এই শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে নরম ও কোমল রাখা যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত না। 
তাদের সমস্যা নিরসন ঘটানোর জন্য আজকের এই পোস্টটি। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এই ছয়টি উপাদান গুলো শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বক দূর করে আপনার ত্বকে আরও বেশি কোমল, মসৃণ ও নমনীয় করে তুলবে। তবে এই উপাদান গুলো সঠিক ব্যবহার করার মাধ্যমে 

আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নিই শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান কি কি এবং এই উপাদানগুলো কিভাবে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বককে কিভাবে কোমল, উজ্জ্বল এবং সজীব প্রাণবন্ত করে।



নারকেল তেল
নারিকেল তেল শীতকালে ত্বকের জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখার অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। কেননা নারিকেল তেলে প্রধান উপাদান হিসেবে রয়েছে ফ্যাটি এসিড এবং লরিক এসিড। যা এই দুইটি উপাদান ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই দুইটি প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের প্রাকৃতিক তেল গুলোকে 

নারকেল তেল


পুনরুদ্ধার করে এবং বাইরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান থেকে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। নারিকেল তেল ত্বকের রুক্ষতা এবং ফাটল প্রতিরোধ করে ত্বককে নরম রাখে। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব কমাতে নারকেল তেলের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল মসৃণ এবং নমনীয়।

শিয়া বাটার
শিয়া বাটার হল এমন একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি সরবরাহ মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এর প্রধান উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে, ভিটামিন A এবং ভিটামিন E, যা এই দুইটি ভিটামিন ত্বকের জন্য সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। যার ফলে সহজে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

শিয়া বাটার


এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ, জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এমনকি ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে নতুন কোষ গঠনের জন্য সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য শিয়া বাটার ত্বকের আর্দ্রতার ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড 

যেমন অলীক, স্টিয়ারিক, পামেটিক এবং লিনোলীক অ্যাসিড যা সহজে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ করে রাখে। যা এটি ত্বকের প্রাকৃতিক চর্বির সমৃদ্ধ স্তর গুলো পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। তাই শীতকালে শিয়া বাটার শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত একটি অপরিহার্য উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম।

অ্যালোভেরা
বর্তমানে অ্যালোভেরা শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার একটি জাদুকরী উপাদান। এটি ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা প্রদান করে এবংত্বককে সর্বদা ঠান্ডা ও শীতল রাখে। অ্যালোভেরাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যামান থাকায়, শীতের ঋতুতে ফেটে যাওয়া শুষ্ক ত্বককে শান্ত করে এবং প্রাকৃতিক আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। 

অ্যালোভেরা


বিশেষ করে অ্যালোভেরার পাতার নরম জেল ত্বককে আরো বেশি শীতল এবং আদ্রতা জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যামিনো এসিড। ত্বকের মৃত কোষকে অপসারণ করে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ সমস্যা কমাতে সহায়ক। 

তাই এলোভেরা ত্বকের গভীরে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার মাধ্যমে ত্বককে সজীব কোমল এবং নমনীয় করে তুলে। আর এই জন্য শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার একটি সহজ পদ্ধতি।

জোজোবা তেল
জোজোবা তেল শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার একটি চমৎকার উপাদান হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।জোজোবা তেলে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি রয়েছে, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যমান থাকায় ত্বকের বিভিন্ন ধরনের 

জোজোবা তেল


ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করার মাধ্যমে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ সহ লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। জোজোবা তেল জন্য একটি প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে দারুণভাবে কাজ করে। কারণ জোজোবা তেল হালকা জাতীয় তেল যা এটির ত্বকে দ্রুত শোষণ করে নেয় এবং ত্বকের মরচেরাইজার লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে এটি শুষ্ক ত্বকের ফাটল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্নে নিয়মিত জোজোবা তেল ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং নমনীয়।

গ্লিসারিন
শুষ্ক ত্বকের যত্নে এবং শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে গ্লিসারিন একটি কার্যকরী উপাদান। গ্লিসারিন ত্বকের গভীরভাবে পুষ্টি প্রদান করে এবং ত্বকে শুষ্কতাও ফাটল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা লেভেল বাড়িয়ে ত্বককে সহজে রুক্ষ হতে দেয় না। গ্লিসারিন ব্যবহারে ত্বকের জন্য কোন ধরনের এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। 

গ্লিসারিন


তাই এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহারে নিরাময়। বরং সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন একটি অসাধারণ পছন্দের উপাদান।

মধু
মধু শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এর গুরুত্ব অন্যতম। কেননা এর বিভিন্ন ধরনের গুণাবলী ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং ত্বকের জন্য সুস্থতা প্রদান করে থাকে। মধুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যামান থাকার কারণে শীতকালের ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাটল নিরাময়ের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

মধু


এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া প্রদাহ সমস্যাএবং ত্বকের লালচে ভাব দূর করার ক্ষেত্রে মধুর অতুলনীয় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে ত্বকের মৃত কোষ গুলো সরিয়ে নতুন কোষ গঠন করতে মধুর বিশেষ অবদান রয়েছে। আর এই জন্য শীতকালে নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বক কোমল নরম এবং সজীব প্রাণবন্ত থাকবে।

ছেলেদের শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

শুষ্ক ত্বক একটি সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক ছেলেদের ত্বকের মধ্যে এ সমস্যা দেখা যায়, বিশেষ করে শীতকালে। আর এই জন্য ছেলেদের ত্বক শুষ্ক হওয়ার পিছনে বিভিন্ন ধরনের কারণে তাদের ত্বকগুলো শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তন, অপর্যাপ্ত পানি পান করা এবং উচ্চ কেমিক্যাল যুক্ত স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার।
 তাই শুষ্ক ত্বক শুধুমাত্র সৌন্দর্য সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটায় না বরং স্বাস্থ্যের দিকেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। অর্থাৎ শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে ত্বককে খসখসে ভাব এবং চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে একটি ভালো গুণগত সম্পন্ন ফেসওয়াশ ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।

কেননা একটি ভালো ফেসওয়াশ শুষ্ক ত্বকে গভীরভাবে পরিষ্কার করার মাধ্যমে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। আজকের এই পোস্টে আমরা শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য ছেলেদের কোন কোন ফেসওয়াশ গুলো ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অর্থাৎ সঠিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ থাকার পাশাপাশি মশ্চারাইজার রাখতে সাহায্য করে। নিচে ছেলেদের শুষ্ক ত্বকের জন্য যে সমস্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারবে তা দেওয়া হল।
  • Nivea Men Dark Spot Reduction Face Wash
  • Garnier Men AcnoFight Face Wash
  • POND'S Men Energy Charge Face Wash
  • Himalaya Men Power Glow Licorice Face Wash
  • Beardo Activated Charcoal Face Wash
উপরের এই সমস্ত ফেসওয়াশগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনি জেনে নিবেন আপনার ত্বকে কোন ধরনের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি আপনার ত্বকে এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে, একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের সাহায্যে আলোচনা করার পর আপনি তা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ফেসওয়াস বেচে দিন এবং নিয়মিত ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক থাকবে নরম মসৃণ এবং সজীব প্রাণবন্ত।

মুখের খসখসে দূর করার ক্রিম

মুখের ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল এবং দৃশ্যমান একটি অংশ। আর এই মুখের ত্বক কোনো কারণে খসখসে ভাব কিংবা শুষ্ক হয়ে গেলে অনেকে অস্বস্তিকর কিংবা বিরক্ত কর অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। কেননা এই সমস্যা কারণে মানুষের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের প্রবণতা প্রভাবিত করে থাকে।

বিশেষ করে মুখের খসখসে ভাব দেখা যায় বেশিরভাগ শীতকালে। অর্থাৎ এই সময় চারদিকে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজমান এবং বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণে সহজে ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু মুখের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য সঠিক ক্রিম নির্বাচন করে ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুখের ত্বকের খসখসে ভাব 

দূর করার ক্রিম বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, মুখের ত্বকের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে, মুখের ত্বকের খসখসে দূর করা বিভিন্ন ক্রিমের নাম যেগুলো ব্যবহার করে সহজে মুখের খসখসে ভাব দূর করতে পারবে।
  • Vaseline Intensive Care Deep Restore Lotion
  • Pond’s Moisturizing Cold Cream
  • Nivea Soft Cream
  • Himalaya Nourishing Skin Cream
  • Bio-Oil Dry Skin Gel
  • Lotus Herbals Cocoa Butter Moisturizing Cream
  • Garnier Skin Naturals Light Complete

উপরের এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার ত্বকে কোন ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি আপনার ত্বকে এলার্জি জড়িত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ সাথে আলোচনা পরামর্শের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। তাই মুখের খসখসে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে সঠিক উপযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আর এই ক্রিমগুলো নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ত্বক থেকে খসখসে ভাব দূর হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বকে আরো বেশি সুন্দর ও লাবণ্যময় হবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন নাইট ক্রিম ভালো

শুষ্ক ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শুষ্ক ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায় এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু শীতকালে চারিদিকে শুষ্ক আবহাওয়া কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে ফেলে এবং ত্বককে আরো বেশি রুক্ষ এবং খসখসে প্রাণহীন করে তোলে। আর এই জন্য শুষ্ক ত্বকের এ ধরনের সমস্যা
দূর করার জন্য নাইট ক্রিম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম নির্বাচন করার সময় কিছু কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা একান্ত উচিত। কেননা শুষ্ক ত্বকের জন্য যে সমস্ত ক্রিম রয়েছে সেগুলোতে যদি হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, শিয়া বাটার এবং প্রাকৃতিক তেল ইত্যাদি উপাদান গুলো বিদ্যামান থাকে তাহলে শুষ্ক ত্বকের জন্য

এই ধরনের ব্যবহারের উপযোগী। বিশেষ করে রাতে আমাদের ত্বক বিশ্রাম অবস্থায় থাকে এবং এই সময়ে ত্বক তার পুনর্জীবন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে থাকে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় রাত্রে যদি শুষ্ক ত্বকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে তাহলে, সহজে ত্বকের আদ্রতা ফিরে পাওয়া এবং ত্বক ফাটা সমস্যা দূর হওয়া সহ ত্বকের জন্য পুনর্জীবন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন কোন নাইট ক্রিম গুলো ভালো তার সম্পর্কে নিজে দেওয়া হলো।

  • Pond's Age Miracle Night Cream
  • Himalaya Revitalizing Night Cream
  • Lakme Peach Milk Night Cream
  • Garnier Skin Naturals Light Complete Night Cream
  • Nivea Night Care Cream
  • Biotique Bio White Night Cream
উপরের এই নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনি আপনার ত্বকে এলার্জির জনিত সমস্যা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। তবে আপনার ত্বকে যদি কোন ধরনের অ্যালার্জি যন্ত্রের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করে আপনি এই নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে, অবশ্যই শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য শুষ্ক ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ এবং ক্রিমের নাম সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাই আজকের আর্টিকেলটি পড়ে শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে জাদুকরী ৬টি উপাদান সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই বিষয় নিয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং তাদেরকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিবেন। এছাড়া ও আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। আপনাদের যেকোনো মতামত জানতে, এই লিঙ্কে চাপ দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url