শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ
মেকআপ করার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়?প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন, শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ গুলো কি কি।
আপনি যদি শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে
আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।
আজকের এই পোষ্টে আমরা শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য আলোচনা করব। তাই আজকের এই পোষ্টটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েন
তাহলে,শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে
পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ
শীত আসলেই অধিকাংশ মানুষের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অর্থাৎ শীতকালে
চারিদিকে শুষ্ক ও রুক্ষ আবহাওয়া বিদ্যমান থাকার কারণে আমাদের ত্বকের উপর
বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মুখের ত্বকের উপর। আর এই জন্যই আমরা
যদি শীতকালে আমাদের ত্বকের প্রতি বিশেষ যত্ন না নিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা
দেয়,
তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো মুখের চামড়া ওঠা বা ত্বক ফাটা। তাই শীতকাল আমাদের
শরীরের জন্য আরামদায়ক হলেও, বিশেষ করে ত্বকের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের কারণ
হতে পারে। আর এই সময়ে আমাদের মুখের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা
যায়। কিন্তু আমরা যদি শীতকালে মুখের ত্বককে সুন্দর ও কোমল রাখতে হলে,
ত্বকের প্রতি একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। এই ত্বকের সমস্যাগুলো পিছনে বেশ
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কারণ রয়েছে। আর এগুলো যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে,
খুব সহজে আমরা ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে পারব। তবে অনেক সময় আবহাওয়ার কারণে নয়
বরং আরো কিছু কারণ রয়েছে যে, কারণগুলোর মাধ্যমে শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার
সমস্যা হতে পারে।
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে, শীতকালে
মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন
আমরা জেনে আসি শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ
শুষ্ক আবহাওয়া
শুষ্ক আবহাওয়াতে বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রার পরিমাণ কম থাকার কারণে আমাদের ত্বক
দ্রুত শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ার সমস্যা দেখা যায়। তবে আমাদের ত্বকের বাইরে এক ধরনের
স্তর রয়েছে, যেটি এপিডার্মিস নামে পরিচিত। কিন্তু আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক
আর্দ্রতা হারালে ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এতে করে অনেক সময় ত্বকের বিভিন্ন
ধরনের ফাটল ও খসখসে ভাব সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে ঠোঁট ফাটার কারণ এবং প্রতিকার?
অর্থাৎ আমাদের ত্বক নিজ থেকে প্রাকৃতিক তেল তৈরি করে যার ফলে আমাদের ত্বকের
আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ত্বককে বাইরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর
উপাদান যেমন ধুলাবালি, দূষণ, ব্যাকটেরিয়া এবং অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের
ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু এই শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা মুলক
স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়
এবং আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক তেল তৈরিতে বাধাগ্রস্ত হয়। আর এই সময়তে
ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের চামড়া ওঠা শুরু হয়। এমনকি ত্বকে ব্রণ,
এলার্জির মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
ঠান্ডা বাতাসের প্রভাব
ঠান্ডা বাতাস আমাদের মুখে ত্বকের উপর বেশ কয়েকটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কেননা
ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ও প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট
করে ফেলে। যার ফলে আমাদের মুখের ত্বক শুষ্ক রুক্ষ এবং সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। বিশেষ
করে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার ফলে, ত্বকের আর্দ্রতা দ্রুত
হারাতে শুরু করে।
আর এই জন্য আমাদের ত্বক সহজে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ত্বকের মধ্যে পানি ধরে
রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক
সুরক্ষামূলক স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ত্বক হয়ে ওঠে আরো বেশি শুষ্ক ও চামড়াটা
প্রবণতা দেখা দেয়। এছাড়াও ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবের কারণে আমাদের শরীরের রক্ত
লাল এগুলো সংকুচিত হয়
এবং ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু তোকে এই রক্ত সঞ্চালন
কমে যাওয়ার কারণে ত্বক নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ থেকে
বঞ্চিত হয়। আর এর প্রভাবে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ করে তুলে। এমনকি ত্বকের
স্বাস্থ্য হানি এবং বয়সের বার্ধক্য জনিত ছাপ তাড়াতাড়ি দেখা যায়
গরম পানিতে মুখ ধোয়া
শীতকালে গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে ত্বকের চামড়া ওঠা একটি সাধারণ সমস্যা, যা
মূলত ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস এবং শুষ্কতার কারণে ঘটে। শীতের মৌসুমে ত্বক এমনিতেই
শুষ্ক হয়ে যায়, কারণ পরিবেশের আর্দ্রতা কমে যায় এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের
প্রাকৃতিক তেল দ্রুত হারিয়ে যায়। গরম পানি এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে,
কারণ এটি ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেলগুলোকে ধুয়ে ফেলে, যা ত্বককে মসৃণ ও আর্দ্র
রাখতে সহায়ক।
আর্দ্রতা বৃদ্ধির অভাব
শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজমান থাকার কারণে মুখের ত্বক শুষ্ক এবং খসখসে হওয়ার
পাশাপাশি মুখের ত্বকের চামড়া ওঠার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ত্বকের জন্য
নির্দিষ্ট ময়শ্চারাইজার অভাবের মুখের চামড়া ওঠা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে
পারে। আর এই জন্য তোকে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আদ্রতা না পেলে যায় এবং মুখের
চামড়া উঠায় প্রবণতা দেখা যায়।
হিটারের ব্যবহার
শীতকালে বাইরের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে সহজে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ
এবং খসখসে সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু শীতকালে ঘরের ভিতরে যদি হিটার ব্যবহার করলে
ত্বকের যে পরিমাণ আর্দ্রতা থাকে সেটিও শুষে নেই। ফলে ত্বক শুষ্ক হয় এবং চামড়া
ওঠার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি
শীতকালে সূর্যের অতিবেগের রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। কেননা সূর্যের
এই অতি বেগুনে রশ্মির প্রভাবে ত্বক সর্বদা শুকিয়ে যায় এবং চামড়া উঠার প্রবণতা
দেখা যায়।
পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
শীতকালে অধিকাংশ মানুষই ঠান্ডা লাগার ভয়ে সর্বদা পানি কম পান করে। আর এই পানি কম
পান করার জন্য শরীরের মধ্যে পানির আর্দ্রতা অভাব দেখা দেয়। যা সরাসরি ত্বকের উপর
প্রভাব ফেলে এবং ত্বককে শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে।
শরীরের ভিটামিনের অভাব
আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ভিটামিন E এবং ভিটামিন D অভাবে ত্বকের শুষ্কতার প্রধান
কারণ হতে পারে। কেননা এই দুইটি ভিটামিনের অভাবে শীতকালে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
শুষ্ক হাওয়ার মধ্যে বেশি সময় কাটানো
শীতকালে অনেকেই বাইরে বেশিরভাগ সময়ে ঘোরাফেরা এবং বন্ধুদের সাথে শুষ্ক বাতাসের
মধ্যে আড্ডা দেওয়ার কারণে শুষ্ক বাতাসের প্রভাবে ত্বকের মধ্যে থেকে প্রাকৃতিক
তেলের আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হোক ও রুক্ষ হতে শুরু করে।
হার্ড কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার
বর্তমান সময়ে ছেলে কিংবা মেয়েরা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন
ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করছে। কিন্তু তারা হয়তো জানে না যে, কিছু
কিছু ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রসাধনীতে উচ্চ কেমিক্যাল যুক্ত ফর্মুলা দেওয়া
থাকে। আর এই প্রসাধনী দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চামড়া
ওঠার সম্ভাবনা দেখা যায়।
মুখের মরা চামড়া দূর করার উপায়
বর্তমান সময়ে ছেলেদের কিংবা মেয়েদের মুখের ত্বকে এক ধরনের বার্ধক্যজনিত ত্বকের
খসখসে ভাব কিংবা ত্বকের মরা চামড়া সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। এই
সমস্যার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে
থাকে। কারণ মুখে ত্বকের মধ্যে যদি খসখসে ভাব কিংবা মরা চামড়ার সমস্যা দেখা
দেয়,
তাহলে মুখের ত্বকের চেহারা সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে অবশ্যই মুখের মরা চামড়া দূর করার উপায়
সম্পর্কে জানতে পারবেন। আজকে আমরা মধু ও চিনি মিশ্রণের মাধ্যমে মুখের মরা চামড়া
দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। কেননা মধু এবং চিনি মিশিয়ে মুখের
মরা চামড়া দূর করার একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি। আর এই মিশ্রণের পদ্ধতি সহজে
এক্সফোলিয়েশন করতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বকের মৃত কোষগুলো সহজে দূর হয়ে
যায় এবং ত্বকের মধ্যে নতুন কোষের সূচনা ঘটে।
মধু ও চিনি মিশিয়ে মুখের মরা দূর করার পদ্ধতি
আপনি যদি মধু ও চিনি দিয়ে মুখের মরা চামড়া দূর করতে চাইলে, আপনাকে ২ টেবিল চামচ
পরিমাণ মধু এবং ২ টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি নিন। এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে মধু ও
চিনি একত্রে করে মিশিয়ে নিন। অবশ্যই নিশ্চিত হন যে, চিনিটি পুরোপুরি মধুর সাথে
যেন মিশে যায়। এরপর আপনি সাধারণ ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার
করুন,
যাতে আপনার ত্বকে কোন ধরনের ময়লা না থাকে। আপনার প্রস্তুত করা মিশ্রণটি মুখে
লাগান। বিশেষ করে আপনার মুখের ত্বকে যে অংশগুলো শুকনো বা মরা অংশে বেশি বেশি করে
মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন এবং হালকা হাতের ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিবে। এভাবে এই
মিশ্রণটি ১০ -১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে, যাতে করে মধু মিশ্রিত চিনি ভালোভাবে ত্বকে
মিশে যেতে পারে।
এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুইয়ে পরিষ্কার করুন এবং একটি ভালো মানের
মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যাতে করে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে। এভাবে
আপনি যদি সপ্তাহে .২-৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার মুখের ত্বকের মরা
চামড়া দূর হবে এবং আপনার ত্বক আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে।
সতর্কতা
এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যাদের ত্বকের চিনির এলার্জি রয়েছে তারা এই
পদ্ধতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।
মুখের মরা চামড়া দূর করার ক্রিম
আমাদের মুখের ত্বক বাহ্যিক সৌন্দর্যের পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সুন্দর
ত্বকের অধিকারী এবং উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক সবাই পছন্দ করে। কিন্তু প্রায়ই বিভিন্ন
সমস্যা কারণে আমাদের মুখের ত্বকের মরা চামড়া উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং
আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে মুখের সৌন্দর্য প্রকাশের বাধা সৃষ্টি করে। তবে
ত্বকের এই সমস্যার জনিত
কারণগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ধুলাবালি, আবহাওয়া পরিবর্তন এবং ত্বকে
ভুল স্কিনকেয়ার ব্যবহার করার কারণে ত্বকে মরা চামড়া লক্ষণ দেখা যায়। ত্বকের
মরা চামড়া থেকে মুক্তি পেতে এবং ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল রাখতে মুখের মরা চামড়া
দূর করার ক্রিম অত্যন্ত কার্যকরী একটি সমাধান। কেননা এই ক্রিমগুলোতে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের উপাদান।
যা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ত্বকের মধ্যে নতুন ও উজ্জ্বল কোষের সৃষ্টি করতে
সাহায্য করে। বর্তমান সময় বাজারে বিভিন্ন ধরনের মুখের মরা চামড়া দূর করার ক্রিম
সচরাচর পাওয়া যাচ্ছে। কারণ এ ক্রিমগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, ত্বকের মৃত
কোষ গুলোকে সরিয়ে নতুন কোষের সৃষ্টি করা এবং ত্বককে কোমল উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য
করে।
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে মুখের মরা
চামড়া দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই ক্রিম গুলোর নাম এবং ব্যবহারের
সঠিক পদ্ধতি ও সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মুখের মরা চামড়া দূর করা ক্রিমের নাম
মুখের ত্বকের মরা চামড়া দূর করার ক্রিমের মূল কাজ হল যে, ত্বকের মধ্যে যে সমস্ত
মৃত কোষ গুলো রয়েছে সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়া এবং ত্বকের গভীরে পুষ্টি সরবরাহ করা
তার মূল কাজ। তবে মুখের মরা চামড়া দূর করার ক্রিমগুলোতে রয়েছে এক কার্যকরী
গুণগত সম্পন্ন উপাদান। বিশেষ করে গ্লাইকোলিক এসিড,স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং
বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট উপাদান যা ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি সরবরাহ
করে এবং ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে।
- Neutrogena Hydro Boost Gel Cream
এই ক্রিমে মূলত হায়ালুরনিক এসিডের উপাদান রয়েছে, যা সহজে ত্বকের আদ্রতা ধরে
রাখতে এবং ত্বকের মধ্যে মৃত কোষ গুলোকে দূর করতে সাহায্য করে। এই ক্রিমটি সর্বদা
ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
- L’Oreal Paris Revitalift Anti Aging Cream
এই ক্রিমে মূলত গ্লাইকোলিক এসিড বিদ্যমান রয়েছে, যা ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে
সারিয়ে তুলে এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে ত্বকের মধ্যে উজ্জ্বল সজীবতা ফিরিয়ে
আনতে সাহায্য করে থাকে। এই ক্রিমটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রুক্ষ তাকে কমিয়ে
ত্বককে নরম নমনীয় ও দীপ্তময় করে তুলে।
- Cetaphil Gentle Exfoliating Cleanser
এই ক্রিমটি মূলত সেনসিটিভ ত্বকের জন্য তৈরি এবং এক্সফোলিয়েটিং ক্লিনজার হিসেবে
ত্বকের মধ্যে মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকে সর্বদা মসৃণ ও কোমল
রাখতে এই ক্রিমের ভূমিকা অতুলনীয়।
উপরের এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার আগে
- Nivea Extra Whitening Cell Repair Cream
এই ক্রিমটি মূলত ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ গুলোকে পুনর্জীবিত করে তোলে। এছাড়াও মৃত
কোষগুলোকে সরিয়ে উজ্জ্বল নমনীয় ত্বক গঠনে সহায়তা করে থাকে।
উপরের এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনার ত্বকে এলার্জিজনিত সমস্যা যদি
থাকে তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে জেনে নেওয়া জরুরী। এক্ষেত্রে এই
ক্রিমটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ সুন্দরভাবে পরিষ্কার
করে নিতে হবে এবং হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ক্রিম গুলো আলতো করে লাগিয়ে নিতে হবে।
এভাবে নিয়মিত সপ্তাহে ২-৩ তিনবার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ত্বক আরো সুন্দর
উজ্জ্বল এবং নমনীয় হবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ভিটামিন ভালো?
শুষ্ক ত্বকের কারণে আমরা অনেক সময় অনেক বেশি অস্বস্তিকর সমস্যা অনুভব করে থাকি।
তবে এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শীতকালে। কিন্তু
ত্বকের শুষ্কতা ত্বকের রুক্ষতা সহ ত্বকের খসখসে ভাব সমস্যার কারণে ত্বকের
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনারা যদি আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়েন
তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ভিটামিন উৎস গুলো ভালো। অর্থাৎ
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি এবং যত্ন। বিশেষকরে কিছু কিছু নির্দিষ্ট
ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বকের শুষ্কতা কমাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উজ্জ্বলতা ধরে
রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর এগুলো হলো ভিটামিন E, C,A, D এবং ওমেগা-৩
ফ্যাটি এসিড।
আমাদের শুষ্ক ত্বকের যত্নে এই ভিটামিন গুলো সর্বদা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে
সাহায্য করে এবং ত্বককে রুক্ষ ও খুসখসে হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি
নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেন এবং ত্বকের প্রতি বাড়তি যত্ন
নিলে সহজে ত্বকের শুষ্কতা ও খসখসে ভাব দূর করা সম্ভব হবে। তাই পরিশেষে বলতে চাই
যে,
শুষ্ক ত্বক একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক পোস্টটি ও ভিটামিনের মাধ্যমে সহজে
নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাতে করে আমাদের ত্বকের শুষ্কতা কমাতে এবং মসৃণ ও উজ্জ্বল
রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই জন্য নিয়মিত ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
করুন তবে সুস্থ থাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখকের শেষ কথাঃ শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন এবং শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
জেনেছেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার জন্য মুখের চামড়া দূর করার বিভিন্ন ধরনের
ক্রিমের নাম সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আজকে এই পোস্টে মুখের ত্বকের চামড়া দূর
করার জন্য যে সমস্ত ক্রিমের নাম বলা হয়েছে এগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই
আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। আজকের
আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি শীতকালে মুখের চামড়া ওঠার ১০টি কারণ সম্পর্কে জেনে
উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে, আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে এই বিষয়
নিয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং তাদেরকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিবেন। আমাদের এই
ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবলিশ করা হয়ে থাকে।
তাই নিত্য নতুন তথ্য পেতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url