দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে কেন মূর্তি স্থাপন করা হয়?

দুর্গাপূজায় কেন কুমারী পূজা প্রচলন রয়েছে?দুর্গাপূজার পঞ্চমীতে মূর্তি স্থাপন - এই রীতি কি শুধু একটি আচার? নাকি এর পিছনে কোনো গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে? আজকের এ আজব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সমগ্র আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে কেন মূর্তি স্থাপন করা হয়?
এই আর্টিকেলে আমরা দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে কেন মূর্তি স্থাপন করা হয়? এর রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

দুর্গাপুজোর পঞ্চমী কেন মূর্তি স্থাপন করা হয়?

দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই পূজা সাধারণত মহালয়ার পরের ষষ্ঠী তিথি থেকে দশমী পর্যন্ত পালিত হয়। তবে পূজার প্রস্তুতি শুরু হয় তার আগের দিন পঞ্চমী তিথি থেকেই। পঞ্চমীর দিনটি দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের সূচনা হিসেবে বিশেষভাবে পালিত হয়। এই তিথিতে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান এবং রীতিনীতি পালন করা হয়, যা
পূজার মূল দিনের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হলো দেবী দুর্গার মূর্তি, যা প্রতিটি পূজা মন্ডপের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পঞ্চমী তিথিতে দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপন করার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, পঞ্চমী তিথিতে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আগমন করেন। এই দিনটিতে দেবীর মূর্তি স্থাপন করার

মাধ্যমে মর্ত্যের মানুষরা দেবীর আগমনকে স্বাগত জানায়। মূর্তির মাধ্যমে দেবীকে মর্ত্যে প্রতিস্থাপন করা হয়, যা পূজার একটি অপরিহার্য অংশ। পঞ্চমী তিথিতে মূর্তি স্থাপন করার আরেকটি কারণ হলো অধিবাস অনুষ্ঠান। অধিবাসের মাধ্যমে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা দেবীকে পূজার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এটি মূলত দেবীর পূজার শুরু এবং পবিত্রতার প্রতীক। 

এমনকি পঞ্চমী তিথিতে মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে পূজার প্রারম্ভ ঘোষণা করা হয়। এই আচারটি পূজার মূল অংশগুলির জন্য প্রস্তুতির একটি ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। মূর্তি স্থাপন করার পর পূজার অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়, যা মূল পূজার দিনগুলোর জন্য পবিত্র পরিবেশ তৈরি করে। তাই দুর্গাপূজার পঞ্চমী তিথিতে মূর্তি স্থাপন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

আচার, যা দেবী দুর্গার পূজার প্রারম্ভ ঘোষণা করে। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে এই আচারটি পূজার একটি অপরিহার্য অংশ, যা প্রতিটি পূজা মন্ডপে পালন করা হয়। দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে পূজার শুভ সূচনা ঘটে এবং মর্ত্যে দেবীর আগমনকে স্বাগত জানানো হয়, যা পূজার আচার-অনুষ্ঠানগুলোকে আরও পবিত্র এবং মহিমাময় করে তোলে।

দুর্গাপূজায় পঞ্চমীতে কি কি পালন করা হয়ে থাকে?

দুর্গাপূজা বাঙালির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যা মহালয়া থেকে শুরু হয়ে বিজয়া দশমীতে শেষ হয়। এই উৎসবের প্রতিটি দিনই বিশেষভাবে পালন করা হয়, তবে পঞ্চমী তিথি থেকে মূল পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়। পঞ্চমীর দিনটি দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের প্রথম দিন হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এই দিনেই দেবীর মূর্তি স্থাপন ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার শুভ সূচনা করা হয়। 

পঞ্চমী তিথিতে পালিত আচার-অনুষ্ঠানগুলো পূজার বাকি দিনগুলোর জন্য মাঙ্গলিক পরিবেশ তৈরি করে। দুর্গাপূজার পঞ্চমী দিন ধর্মীয় আচার, ভোজন, প্রসাদ বিতরণ এবং ধর্মীয় আলোচনা ও কীর্তনের মাধ্যমে বিশেষভাবে পালন করা হয়। এই দিনটি দুর্গাপূজার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ভক্তদের মধ্যে আধ্যাত্মিক উদ্দীপনা ও একাত্মতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

পঞ্চমী দিনে পালিত এই কার্যক্রমগুলি শুধু ধর্মীয় রীতির পালন নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও একটি অংশ, যা দুর্গাপূজার আনন্দ ও মহিমা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পঞ্চমী তিথিতে পালিত আচার-অনুষ্ঠান
  • দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসঃ পঞ্চমী তিথিতে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা অধিবাস নামে পরিচিত। এটি দেবীকে মর্ত্যে প্রতিষ্ঠা করার প্রাথমিক আচার হিসেবে পালন করা হয়। অধিবাসের মাধ্যমে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
  • ঘট স্থাপনঃ ঘট স্থাপন হলো পূজার মূল প্রতীক হিসেবে একটি ঘট বা পাত্র স্থাপন করা, যা দেবীর অবস্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই ঘটের মধ্যে পবিত্র জল রাখা হয় এবং সেটিকে ফুল, পাতা ও অন্যান্য মাঙ্গলিক বস্তু দিয়ে সাজানো হয়।
  • শঙ্খ ও উলুধ্বনিঃ পঞ্চমী তিথিতে শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনির মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানানো হয়। এই ধ্বনিগুলি শুভ এবং মাঙ্গলিক বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এটি পূজার শুরুতে পরিবেশকে পবিত্র ও সুরেলা করে তোলে।
  • মন্ত্র উচ্চারণঃ এই তিথিতে বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়, যা পূজার আচারগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পূজার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা হয় এবং দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
  • নৈবেদ্য ও ভোগ নিবেদনঃ পঞ্চমীর দিন দেবীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফল, মিষ্টি, এবং প্রসাদ নিবেদন করা হয়। এই নৈবেদ্য দেবী দুর্গার প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রকাশ হিসেবে প্রদান করা হয়।
  • কলশ স্থাপনঃ পূজার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কলশ স্থাপন। এটি মাঙ্গলিক এবং শাস্ত্রসম্মত পদ্ধতিতে দেবী দুর্গার পূজায় সাফল্য এবং মঙ্গল কামনা করার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
দুর্গাপূজার পঞ্চমী তিথিতে মূর্তি স্থাপন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আচার, যা দেবী দুর্গার পূজার প্রারম্ভ ঘোষণা করে। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে এই আচারটি পূজার একটি অপরিহার্য অংশ, যা প্রতিটি পূজা মন্ডপে পালন করা হয়। দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে পূজার শুভ সূচনা ঘটে এবং মর্ত্যে দেবীর আগমনকে স্বাগত জানানো হয়, যা পূজার আচার-অনুষ্ঠানগুলোকে আরও পবিত্র এবং মহিমাময় করে তোলে।

দুর্গাপূজা পঞ্চমী তিথির আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

দুর্গাপূজা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে আনন্দদায়ক ও ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি, সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপিত হয়। এই পূজার মূল কেন্দ্রবিন্দু হল মা দুর্গার আরাধনা, যিনি শক্তি, সাহস ও সুরক্ষা দেবী হিসেবে পরিচিত। দুর্গাপূজার এই বিশেষ উৎসবের পাঁচটি দিন, বিশেষত পঞ্চমী তিথি, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। 

পঞ্চমী তিথি দুর্গাপূজার দ্বিতীয় দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দিনটি মা দুর্গার বিজয়া দশমীর আগমনের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পঞ্চমী তিথির বিশেষত্ব হল মা দুর্গার বোধন, যা পূজার মূল সুরভি ও শক্তির সঞ্চার ঘটায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে মা দুর্গা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসেন এবং তাঁর ভূবনবাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

আধ্যাত্মিকভাবে পঞ্চমী তিথি একটি নতুন সূচনা ও শক্তির প্রকাশের দিন হিসেবে গণ্য হয়। এই দিনে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও পূজার আয়োজনের মাধ্যমে সারা বছরের সমস্ত অমঙ্গল ও অশুভ শক্তি দূর হয়। এটি একটি আত্মসংযমের ও ধ্যানের সময়, যেখানে ভক্তরা মা দুর্গার প্রতি তাঁদের পূর্ণ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকেন। পঞ্চমী তিথির সময় মা দুর্গার বিভিন্ন

রূপ ও শক্তির আরাধনা করা হয়, যা আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি ও মানসিক শান্তির অভ্যুদয় ঘটায়। এই দিনে করা পুজা ও ত্যাগের মাধ্যমে একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করা যায়, তেমনি ভক্তদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি অর্জনের পথ সুগম হয়। তাই পরিশেষে বলতে পারি যে, দুর্গাপূজার পঞ্চমী তিথি হ'ল একটি আধ্যাত্মিক উৎসবের সূচনা যা ভক্তদের

জীবনে পবিত্রতা, শক্তি ও শান্তির অনুপ্রেরণা জোগায়। এই দিনটি মা দুর্গার উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে নিবেদিত, যা ভক্তদের জীবনে এক নতুন শক্তি ও শক্তির প্রকাশ ঘটায়। পঞ্চমী তিথির এই আধ্যাত্মিক তাৎপর্য উপলব্ধি করে, ভক্তরা নিজেদের আধ্যাত্মিক যাত্রায় আরও এগিয়ে যেতে পারেন।

দুর্গাপূজা পঞ্চমী উপলক্ষে অনুষ্ঠান

দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা মা দুর্গার শক্তি, বিজয় এবং পুণ্যতার প্রতি ভক্তির প্রকাশ। এই উৎসবের প্রতিটি দিনেই রয়েছে বিশেষ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। দুর্গাপূজার পঞ্চমী তিথি, যা পূজার পঞ্চম দিনে পালিত হয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এটি পূজার অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠানগুলির সূচনা ও প্রস্তুতির সময়। পঞ্চমী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পূজার মহিমা ও সাফল্যের প্রতীক। এখানে পঞ্চমী উপলক্ষে সাধারণত অনুষ্ঠিত কিছু প্রধান অনুষ্ঠান এবং কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেওয়া হলো।

  •  পঞ্চমী পূজা ও বোধনঃ দুর্গাপূজার পঞ্চমী তিথিতে পূজার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই দিনে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুজোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মা দুর্গার বোধন (প্রথম পূজা) হয়, যা পূজার মূল সুরভি ও শক্তির সঞ্চার ঘটায়।
  • দেবী দুর্গার শুচি ও স্নানঃ পঞ্চমী তিথিতে মা দুর্গার বিশেষ শুচি ও স্নান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে মায়ের মূর্তি ধোয়া এবং নতুন কাপড় পরানো হয়। এটি একদিকে মা দুর্গার পূজার প্রস্তুতির অংশ, অন্যদিকে মায়ের প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও পুজার চূড়ান্ত প্রকাশ।
  • মঙ্গল আরতির আয়োজনঃ পঞ্চমী উপলক্ষে সাধারণত মঙ্গল আরতির আয়োজন করা হয়। এই আরতি সম্পাদনের মাধ্যমে ভক্তরা মা দুর্গার প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ লাভের প্রার্থনা করেন। মঙ্গল আরতির সঙ্গে সঙ্গী হয়ে থাকে মন্ত্রপাঠ, গান এবং বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্রদীপ জ্বালানো।
  •  খাদ্যদানের আয়োজনঃ এই দিনে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। পঞ্চমী তিথিতে বিশেষ করে খিচুড়ি, ফল, মিষ্টান্ন ইত্যাদি প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। খাদ্যদান পুণ্য অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দান হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঃ অনেক জায়গায় পঞ্চমী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেমন নাটক, গান, নৃত্য ও কবিতা পাঠ। এই অনুষ্ঠানগুলো দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে আরো বৃদ্ধি করে এবং স্থানীয় শিল্পীদের সহযোগিতা প্রদান করে।
  •  কীর্তন ও ধ্যানে অংশগ্রহণঃ পঞ্চমী তিথিতে অনেক ভক্ত কীর্তন (ভক্তিগীতি) এবং ধ্যানের আয়োজন করেন। এই সময়টাতে কীর্তনের মাধ্যমে মা দুর্গার গুণগান করা হয় এবং ধ্যানের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি অর্জনের চেষ্টা করা হয়।
  • সামাজিক ও ধর্মীয় আলোচনাঃ অনেক পূজামন্ডপে পঞ্চমী উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা, বক্তৃতা বা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনাগুলো সাধারণত মা দুর্গার আদর্শ, পুজার গুরুত্ব এবং ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে হয়ে থাকে।
এই অনুষ্ঠানগুলি দুর্গাপূজা পঞ্চমী উপলক্ষে একত্রিত হয়ে ভক্তদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। পঞ্চমী তিথির মাধ্যমে মা দুর্গার পূজা শুরু হয় এবং এটি পূজার আনন্দময় রীতি-নীতি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।

লেখকের শেষ কথা

দুর্গাপূজার পঞ্চমীতে মূর্তি স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক প্রথা যা পূজার মূল আচার-অনুষ্ঠানের সূচনা করে। এই দিনটি মা দুর্গার মর্ত্যে আগমনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে দেবীর মূর্তি পূজার মন্ডপে স্থাপন করা হয় এবং তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই আচারটির মাধ্যমে পূজার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং পূজার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

দুর্গাপূজার পঞ্চমীতে মূর্তি স্থাপন একটি অপরিহার্য ধর্মীয় প্রথা যা পূজার আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য, এবং আনুষ্ঠানিক সূচনা প্রতিষ্ঠিত করে। এটি দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের প্রতীক, পূজার প্রস্তুতির ভিত্তি, এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। পঞ্চমী তিথির মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে পূজার পুরোপরিসর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং পূজার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মহিমা পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়।

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে কেন মূর্তি স্থাপন করা হয়? এই বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে, এবং সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই বিষয় নিয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতের ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url