কোন মৌসুমে কোন ফসল সবচেয়ে ভালো হয়?
বারোমাসি সবজি চাষের তালিকাপ্রিয় পাঠক আপনি কি জানতে চাচ্ছেন কোন মৌসুমে কোন ফসল সবচেয়ে ভালো হয়? জানতে
হলে আজকের সমগ্র আর্টিকেল জুড়ে চোখ রাখুন।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের প্রধান তিনটি মৌসুমে কোন কোন ফসল
সবচেয়ে ভালো হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
কোন মৌসুমে কোন ফসল সবচেয়ে ভালো হয়?
বাংলাদেশ একটি কৃষি সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে
জড়িত। এদেশের অধিকাংশ মানুষের কৃষি কাজ হচ্ছে তাদের অর্থনীতির প্রধান মূল শক্তির
প্রাণদণ্ড। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে
কৃষকেরা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং
প্রকৃতির
আরো পড়ুনঃ মরিচ গাছের ফুল ঝরে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে বাংলাদেশের কৃষকরা বিভিন্ন
ধরনের ফসল চাষ করে থাকে। তবে প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা মৌসুমের আগমন
ঘটে থাকে। আর এই মৌসুমের কোন কোন ঋতুতে কোন ধরনের ফসল সবচেয়ে ভালো হয়, এবং
কিভাবে চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এই বিষয় সম্পর্কে অনেক কৃষকই
এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানেনা। কোন কোন মৌসুম অনুযায়ী সঠিক তথ্য জেনে তাল মিলিয়ে
কৃষক ভাইয়েরা যদি জমিতে ফসল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়, এই সমস্ত
বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে আজকের লেখা এ আর্টিকেলটিতে মনোযোগ
সহকারে সম্পন্ন পড়তে হবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিত অংশ নিয়ে আলোচনা
করি।
বাংলাদেশের প্রধান তিনটি মৌসুমে কোন কোন ফসল সবচেয়ে ভালো হয়
বাংলাদেশ মূলত কৃষি প্রধান দেশ। এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের
ফসল উৎপাদন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য অনুসারে
এদেশের বারোটি মাসকে যেমন ছয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তেমনি ভাবে ফসল ভিত্তিক
অনুসারে ফসল গুলোকে তিনটি মৌসুমে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির ঋতু
বৈচিত্র্য
অনুসারে তাল মিলিয়ে চাষাবাদ করা হয় বলে প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মৌসুমে
বিভিন্ন ধরনের ফসলের সমারোহ ঘটে থাকে। নিচে আমরা এই তিন মৌসুমে কোন জাতীয় ফসল
কোন কোন মাস গুলোতে চাষ করা হয়ে থাকে, তার বিস্তারিত তথ্যসমূহ নিচে আলোচনা করা
হলো।
রবি মৌসুমে রবি জাতীয় ফসল (অক্টোবর - মার্চ)
রবি জাতীয় ফসল সাধারণত অক্টোবর - মার্চ এই মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে চাষ করা হয়ে
থাকে। এ সময়ে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে এবং শীতের আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার ফলে রবি
ফসলের জন্য এক আদর্শ সময়। অর্থাৎ এই সময়তে প্রধানত ধান, শস্য, গম, সরিষা, মসুর,
আলু,ফল এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়ে থাকে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে
রবি জাতীয় ফসল চাষ করতে বিভিন্ন এলাকাতে বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র
আবহাওয়ার পরিবর্তন অনুযায়ী চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অনেক কৃষক
ভাইয়েরা রয়েছে যারা রবি জাতীয় ফসল চাষ করার জন্য আগ্রহী। কিন্তু তারা কখন এবং
কোন জাতীয় ফসল চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায় তারা এই বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে
তারা
অবগত না থাকার কারণে রবি জাতীয় ফসল চাষ করতে সংকোচ বোধ করছে। তাদের সমস্যার
সমাধানের জন্য রবি জাতীয় কোন ধরনের ফসল ও শাক সবজি চাষ করা প্রয়োজন তার তালিকা
সম্পর্কে নিতে বর্ণনা দেয়া হলো।
- ধানঃ ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। বিশেষভাবে আমাদের খাবারের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। আর এই জন্য প্রতি রবি মৌসুমে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, জিরাশাইল, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৭৫, বিনা-১৭, ইত্যাদি।
- গমঃ গমের চাষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা গমের চাষের ক্ষেত্রে কৃষকের উন্নতিতে বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের গমের জাতের চাষ করা হয়ে থাকে তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশেষ পরিচিত ও উন্নতমানের গুণগত সম্পন্ন জাত গুলো হল বারি- ২২, বারি- ২৯, এবং সোনালী, প্রতিমা ইত্যাদি জনপ্রিয় জাতগুলো বিশেষভাবে পরিচিত।
- সরিষাঃ সরিষা বীজ থেকে তেল বিশেষ করে আমাদের নিত্যদিনের রান্নার বিশেষ উপকরণ হিসেবে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি। অর্থাৎ সরিষা যেকোনো মৌসুমে চাষ করলে হয় না। কেবলমাত্র রবি মৌসুমে সরিষা চাষের জন্য বেশ উপযোগী একটি নির্দিষ্ট সময়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সরিষা চাষ করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো যে, টরি-৭, টরি-৯, বারি-৭, বারি-৮, বারি-৯, বারি-১০, বারি-১৪, বারি-১৭, ইত্যাদি।
- শাকসবজিঃ রবি মৌসুমে বাজারে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো যে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা,গাজর, শিম, লাউ, টমেটো, আলু পালন শাক, লাল শাক, ব্রকলি সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কেবলমাত্র রবি মৌসুমী সর্বোচ্চ বেশি পাওয়া যায়।
- ফলের সমারোহঃ রবি মৌসুমে রবি জাতীয় ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর, জাম্বুরা, বেদানা, কমলালেবু, লেবু, বাতাবি লেবু ইত্যাদি সুস্বাদু ফলের সমারোহ বাজারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রীষ্মকালীন খরিপ-১ মৌসুম (মার্চ - জুলাই)
গ্রীষ্মকালীন খরিপ-১ মৌসুমে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফসল ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়ে
থাকে। যা গ্রীস্মের উষ্ণ আদ্রতা এবং আবহাওয়া উপযোগী এই সমস্ত ফসল গুলো ভালোভাবে
বেড়ে ওঠে। এ মৌসুমের ফসল গুলো গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রা এবং বর্ষাকালের প্রথম
দিকে বর্ষণ থেকে উপকৃত হয় বলে ফসলগুলো সুন্দরভাবে চাষ করা যায়।
এছাড়াও এই মৌসুমে সঠিক পরিচর্যা এবং সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত
করা যেতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষকরা যদি মৌসুম ভিত্তিক অনুসারে ফসল চাষ করে
থাকে তাহলে খুব সহজে তারা তাদের জীবনধারা পরিবর্তন করতে পারবে। এমনকি সঠিক সময়ে
কোন ধরনের ফসল চাষ করে অল্পতেই অধিক লাভবান হওয়া যায়,
এই সমস্ত মৌসুম অনুযায়ী ফসল চাষের ক্ষেত্রে কৃষকের জ্ঞান থাকা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কৃষকরা বিশেষভাবে তাদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশের
অর্থনীতিতে এবং জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ
অবদান রাখছে। এই মৌসুমে যেগুলো ফসল চাষ করা হয়ে থাকে সেগুলোর সম্পর্কে নিচের
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
- আউশ ধানঃ আউশ ধান বাংলাদেশের তিনটি প্রধান ধানের মৌসুমের মধ্যে একটি। বিশেষ করে আউশ ধান সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বপন করা হয় এবং জুন জুলাই মাসে ধান কাটার জন্য উপযোগী হয়। আউশ ধান দ্রুত বর্ধনশীল এবং কম সময়ের মধ্যে পরিপক্ক হয় বলে এটি খরা প্রবল এলাকায় ধান চাষের জন্য বেশ উপযোগী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে আউশ ধানের জাত গুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য জাতগুলো হল, ব্রিধান-২, ব্রিধান- ১০, জিরাশাইল, বিআর- ১৪, বিআর- ২৬, বিআর- ৩৩, বিনা ধান-৭ ইত্যাদি।
- পাটঃ পাট বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল হিসেবে বেশ পরিচিত। পাট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কেননা এটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পন্য হিসেবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের প্রধান আয়ের উৎস। পাট পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভালো এবং মাটির ক্ষয় রোধের হাত থেকে রক্ষা করে এছাড়াও বিশেষভাবে বাড়ি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বাংলা হচ্ছে সাধারণত যে ধরনের পাটের জাত চাষ করা হয়েছে এগুলো হল, তোষা পাত,মেস্তা পাট। পাটের বীজ এপ্রিল মে মাসে বপন করা হয় এবং আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে কাটা হয়।
- ভুট্টাঃ ভুট্টা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য এবং আজকের দিনে বিশেষভাবে পশু খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত। একদিকে যেমন ভুট্টার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান রয়েছে তেমনিভাবে এর বহুবিধ ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভুট্টা চাষের জন্য উর্বর দোআঁশ মাটি এবং উষ্ণ আবহাওয়া পরিবেশ বেশ উপযোগী। ভুট্টা সাধারণত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বপন করা হয়ে থাকে। ভুট্টা তে বিভিন্ন ধরনের কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন বি এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকার কারণে মানব দেহের জন্য এটি উপকারী।
- শাকসবজিঃ গ্রীষ্মকালীন খরিপ-১ মৌসুমে হাটে বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে ভরপুর থাকে। বিশেষ করে এই সময়তে বাজারে সাধারণত ঢেঁড়স, করলা, পটল কাঁকরোল বরবটি লাউ শসা ঝিঙ্গা মিষ্টি আলু, ইত্যাদি পাওয়া যায়
- ফলের সমারোহঃ গ্রীষ্মকালীন খরিপ-১ মৌসুমে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, জামরুল, তরমুজ, কাঁকরোল ইত্যাদি মৌসুমী ফলের সমারোহে মুখরিত হয় গ্রামবাংলা।।
বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুম (জুলাই - অক্টোবর)
বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা এই সময়তে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও আদ্র আবহাওয়া থাকার ফলে বিভিন্ন ফসলের জন্য
উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়। বিশেষ করে এই মৌসুমে চাষ যোগ্য ফসলের মধ্যে রয়েছে, আমন
ধান, সয়াবিন, চিনা বাদাম, শাকসবজি ও বিভিন্ন ধরনের ফল চাষ করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে নিত্য নতুন কৃষকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অনেক কৃষক
ভাইয়েরা রয়েছে যারা বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে কোন ধরনের ফসল চাষ করলে অধিক
লাভবান হওয়া যায় এ বিষয়ে তাদের সঠিক কোন ধারণাই নেই। তাদের সমস্যা সমাধানের
জন্য আজকের এই লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জেনে এই মৌসুমগুলোতে কোন
ধরনের ফসল চাষ করলে লাভবান হওয়া যায় এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।
তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে আসি বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে চাষযোগ্য
ফসলের বিস্তারিত সঠিক তথ্য।
- আমন ধানঃ আমন ধান সাধারণত বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে অর্থাৎ জুলায় অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়তে রোপন করা হয়। এ সময়তে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও আদ্র আবহাওয়া থাকার কারণে আমন ধানের ফলন সবচেয়ে ভালো হয়। বাংলাদেশে আমন ধানের জাত গুলোর মধ্যে রয়েছে, বি আর-১১, বি আর- ২২, ব্রি ধান- ৩৩, ব্রি ধান- ৩৪, ব্রি ধান- ৩৯, ব্রি ধান- ৪৯, ব্রি ধান- ৫১, ব্রি ধান- ৭৫, ব্রি ধান- ৮৭ ইত্যাদি।
- সয়াবিনঃ সয়াবিন বিশেষ করে বাংলাদেশের কৃষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল হিসেবে অবদান রয়েছে। সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ এবং অর্থনৈতিক মূল্যবোধের জন্য বিশ্বজুড়ে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সয়াবিন রয়েছে প্রোটিন ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্যের উৎস। সয়াবিন উষ্ণ আদ্র আবহাওয়া পরিবেশে চাষের জন্য উপযুক্ত। এটি সাধারণত জুন জুলাই মাসে রোপন করা হয় এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাঝারি সময়ে ফসল সংগ্রহ করা হয়।
- চিনা বাদামঃ চিনা বাদাম বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চিনা বাদাম চাষ করা হয়ে থাকে। এই চিনা বাদাম কে আবার গ্রাউন্ড নাট বা পিনাট নামেও অনেক দেশে বেশ পরিচিত রয়েছে। বাংলাদেশের চিনা বাদামের ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বিশেষ করে তেল জাতীয় ফসল হিসেবে। কেননা চীনা বাদামের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের জন্য বিশ্বজুড়ে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চিনাবাদাম কেবলমাত্র তেল উৎপাদন জন্য নয় বরং বিভিন্ন ধরনের পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- শাকসবজিঃ বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে বাংলাদেশে বিশেষ করে হাটেবাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য হলো যে, শসা ঝিঙ্গা ঢেঁড়স লাউ মিষ্টি আলু মিষ্টি কুমড়া পটল পুঁইশাক করলা ইত্যাদি।
- ফলের সমারোহঃ বর্ষাকালীন খরিপ-২ মৌসুমে জাম্বুরা, লেবু,বাতাবি লেবু, কাঁকরোল ইত্যাদি পাওয়া যায়।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং কোন
মৌসুমে কোন ফসল সবচেয়ে ভালো হয় এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য অনেক কিছু
জেনেছেন। উপরের সমস্ত বিষয়বস্তু যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে খুব
সহজে আপনি কোন মৌসুমে কোন ধরনের ফসল চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায় এ বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে বেশি বেশি শেয়ার
করবেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কৃষি বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন
ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url