অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪

বাংলাদেশী নতুন ই-পাসপোর্ট কিভাবে আবেদন করবেনআজকের দ্রুত গতির বিশ্বে, সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহারই হল সাফল্যের চাবিকাঠি। এই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ 'ই-পাসপোর্ট'। প্রিয় পাঠক আপনারা কি অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ জানতে আগ্রহী।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
পোস্ট সূচিপত্রঃতাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা ছাড়াই, ঘরে বসেই অনলাইনে রিনিউ করার টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪

বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এর পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করে। তবে বর্তমানে, ই-পাসপোর্ট নবায়ন অনলাইনেই করা সম্ভব। এই প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত। এই পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে অনলাইনেই রিনিউ করা যাবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা সহজ ভাষায় ২০২৪ সালে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা করবো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
  • পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম (অনলাইনে পূরণ করা)
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) স্ক্যানকপি
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের স্ক্যানকপি (যদি থাকে)
  • পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রসিদ
  • পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য যোগাযোগের ঠিকানা
ধাপে ধাপে রিনিউ করার প্রক্রিয়াঃ
অ্যাকাউন্ট তৈরি ও আবেদন ফর্ম পূরণ
  • https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে যান এবং একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  • লগইন করার পর "Apply for a new passport" অপশনে ক্লিক করে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
  • সকল তথ্য সাবধানে ও সঠিকভাবে প্রদান করুন।
কাগজপত্র আপলোড
  • নির্ধারিত স্ক্যানকপিগুলো (উল্লেখ করা আছে) আপলোড করুন।
  • স্ক্যানকপিগুলো স্পষ্ট ও উচ্চ রেজোলিউশনের হতে হবে।
পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
  • মাস্টারকার্ড, ভিসা, অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন।
  • ফি পরিশোধের রসিদ সংরক্ষণ করুন।
আবেদন জমা
  • সকল তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই করার পর আবেদন জমা দিন।
  • একটি রেফারেন্স নম্বর দেওয়া হবে।
 অ্যাপয়েন্টমেন্ট
  • আবেদন গ্রহণের পর এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে।
  • নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সঙ্গে নিতে হবে
  • প্রিন্টেড আবেদন ফর্ম
  • রেফারেন্স নম্বর
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • ফি পরিশোধের রসিদ
পাসপোর্ট ডেলিভারি
  • পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে নির্ধারিত ঠিকানায় ডেলিভারি দেওয়া হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখু
  • আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
  • ছবিগুলো স্পষ্ট এবং পাসপোর্টের নিয়ম মেনে তোলা হয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
  • ফি পরিশোধের পরে আবেদনপত্র সম্পাদনা করা যাবে না।
  • পাসপোর্ট ডেলিভারিতে বিলম্ব হতে পারে।
ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য অনলাইন পদ্ধতিটি একটি সুবিধাজনক এবং কার্যকর সমাধান। উপরে উল্লেখিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার ই-পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।

পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ

বাংলাদেশে বসবাসরত নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট একটি অপরিহার্য ভ্রমণ দলিল। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই এটি রিনিউ করতে হবে। এই আর্টিকেলে, আমরা বাংলাদেশে পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পাসপোর্টের মেয়াদঃ
৫ বছর মেয়াদী
  • নিয়মিত ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ১,৫০০ টাকা
  • তাৎক্ষণিক ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ২,০০০ টাকা
১০ বছর মেয়াদী
  • নিয়মিত ডেলিভারি (২১ দিনের মধ্যে): ৪,০২৫ টাকা
  • তাৎক্ষণিক ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে): ৬,৩২৫ টাকা
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ দিনের মধ্যে): ৮,৬২৫ টাকা
পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা
  • ৩৬ পৃষ্ঠা উপরে উল্লিখিত ফি প্রযোজ্য
  • ৪৮ পৃষ্ঠা অতিরিক্ত ৫০০ টাকা
আবেদনের ধরন
অনলাইন আবেদন
  • ব্যাংক চার্জ প্রযোজ্য
অফলাইন আবেদন
  • সেবা চার্জ ৩০০ টাকা
ডেলিভারি পদ্ধতি
  • কুরিয়ার প্রযোজ্য হলে অতিরিক্ত খরচ
মোট খরচ হিসাব করার জন্য
  • আপনার পছন্দের পাসপোর্টের মেয়াদ (৫ বছর বা ১০ বছর) নির্বাচন করুন।
  • আপনার পছন্দের পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা (৩৬ পৃষ্ঠা বা ৪৮ পৃষ্ঠা) নির্বাচন করুন।
  • আপনার আবেদনের ধরন নির্বাচন করুন (অনলাইন বা অফলাইন)।
  • আপনার পছন্দের ডেলিভারি পদ্ধতি নির্বাচন করুন (নিয়মিত, তাৎক্ষণিক, সুপার এক্সপ্রেস, ইত্যাদি)।
আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদী, ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন এবং নিয়মিত ডেলিভারি বেছে নেন, তাহলে আপনার মোট খরচ হবে: ১,৫০০ টাকা (মেয়াদ) + ৫০০ টাকা (পৃষ্ঠা) + ব্যাংক চার্জ (অনলাইন আবেদন) + ৩০০ টাকা (সেবা চার্জ) = ২,৩০০ টাকা (প্রায়)।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারেন।
  • অনলাইনে আবেদন করার জন্য, আপনাকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট: https://dip.gov.bd/ ব্যবহার করতে হবে।
  • অফলাইনে আবেদন করার জন্য, আপনাকে আপনার নিকটতম পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত দিন লাগে

ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য পাসপোর্ট একটি অপরিহার্য দলিল। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, দ্রুত রিনিউ করার জন্য অনেকেই উদ্বিগ্ন থাকেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত সময় লাগে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস যা আপনাকে দ্রুত পাসপোর্ট রিনিউ করতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ 

সাধারণত ১০ বছর।বাংলাদেশে, পাসপোর্ট রিনিউ করতে সাধারণত ৭ থেকে ১৫ কার্যদিবস সময় লাগে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাসপোর্ট নবায়ন করা জরুরি। নবায়নের জন্য আবেদন করার পর কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের আসল কপি
  • ২ কপি সাদা পটভূমিতে পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • অনলাইন আবেদন ফরমের প্রিন্টেড কপি
আবেদনের ধরণ
  • নিয়মিত আবেদনঃ নিয়মিত আবেদনের ক্ষেত্রে, পাসপোর্ট ডেলিভারিতে ৭-১৫ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে।
  • জরুরি আবেদনঃ জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে, পাসপোর্ট ডেলিভারিতে ৩-৪ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে।
  • অনলাইন আবেদনঃ অনলাইনে আবেদন করলে প্রক্রিয়া দ্রুততর হতে পারে।
আবেদন জমা দেওয়ার স্থান
  • ঢাকাঃ ঢাকায় অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদন করলে দ্রুততম প্রসেসিং সময় পাওয়া যায়।
  • অন্যান্য জেলাঃ ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আবেদন করলে প্রসেসিং সময় একটু বেশি লাগতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
  • অনলাইনে আবেদন করুন এটি সময় বাঁচাবে এবং ঝামেলা কম হবে।
  • আবেদন করার আগে সব নির্দেশাবলী পড়ুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
  • আপনার আবেদন পূর্ণাঙ্গ ও ত্রুটিমুক্ত তা নিশ্চিত করুন।
  • কম ব্যস্ত সময়ে আবেদন করুন ছুটির দিন বা মাসের শেষের দিকে আবেদনকারী বেশি থাকে।
  • আবেদনের স্থিতি ট্র্যাক করুন: https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।
মনে রাখবেন
  • তথ্য পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য স্থানীয় পাসপোর্ট অফিস যোগাযোগ করুন অথবা https://www.epassport.gov.bd/ দেখুন।
  • আবেদনপত্রে কোন ভুল তথ্য দেওয়া জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

লেখকের শেষ কথাঃ অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪

২০২৪ সালে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করা একটি সহজ ও সুবিধাজনক প্রক্রিয়া। আপনারা ঘরে বসেই, মাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আপনি পুরোনো পাসপোর্ট রিনিউ করে নতুন ই-পাসপোর্ট পেতে পারেন। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি পড়ে সঠিক তথ্য পেয়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে, আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে এ বিষয় সম্পর্কে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url