বাংলাদেশী নতুন ই-পাসপোর্ট কিভাবে আবেদন করবেন
বাংলাদেশী নতুন ই-পাসপোর্টে কিভাবে আবেদন করবেন
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC) (মূল ও ফটোকপি)
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম (온라ইনে পূরণ করা)
- পাসপোর্ট ফি (মোবাইল ব্যাংকিং/ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা)
- ২ কপি সাদা পটভূমির পাসপোর্ট আকারের ছবি (ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ (অতি জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে)
- প্রথমে, বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টাল (https://www.epassport.gov.bd/) এ যান।
- নতুন আবেদন' বিকল্পে ক্লিক করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- গুরুত্বপূর্ণঃ রেজিস্ট্রেশনের সময়, আপনার মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করুন কারণ এই মাধ্যমেই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হবে।
- প্রয়োজনীয় তথ্য সাবধানে পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- লগ ইন করার পর, 'আবেদন ফরম' ট্যাবে যান।
- গুরুত্বপূর্ণঃ সকল তথ্য বাংলায় সাবধানে পূরণ করুন। তথ্যে ভুল থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
- পাসপোর্টের ধরণ (নতুন/নবায়ন/প্রতিস্থাপন), বৈধতা (৫/১০ বছর) এবং ডেলিভারি পদ্ধতি (সাধারণ/অতি জরুরী) নির্বাচন করুন।
- নির্বাচিত পদ্ধতি অনুযায়ী প্রযোজ্য ফি মোবাইল ব্যাংকিং / ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে প্রদান করুন।
- গুরুত্বপূর্ণঃ ফি প্রদানের পর রসিদ সংরক্ষণ করুন।
- নিকটতম পাসপোর্ট অফিসে একটি appointment শেডিউল করুন।
- appointment তারিখ ও সময় নিশ্চিত করুন।
নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য ফি
- ৫ বছর
- ১০ বছর
- ৪৮
- ৬৪
- রেগুলার
- জরুরী
- অতি জরুরী
- এই তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে পাসপোর্টের খরচ নির্ধারিত হয়।
মেয়াদ | পৃষ্ঠা সংখ্যা | সেবা | টাকার পরিমান |
৫ বছর |
৪৮ |
রেগুলার |
৪০২৫ |
৫ বছর |
৪৮ |
জরুরী |
৬৩২৫ |
৫ বছর |
৪৮ |
অতি জরুরী |
৮৬২৫ |
৫ বছর |
৬৪ |
রেগুলার |
৬৩২৫ |
৫ বছর |
৬৪ |
জরুরী |
৮৬২৫ |
৫ বছর |
৬৪ |
অতি জরুরী |
১২০৭৫ |
১০ বছর |
৪৮ |
রেগুলার |
৫৭৫০ |
১০ বছর |
৪৮ |
জরুরী |
৮০৫০ |
১০ বছর |
৪৮ |
অতি জরুরী |
১০৩৫০ |
১০ বছর |
৬৪ |
রেগুলার |
৭০৭৫ |
১০ বছর |
৬৪ |
জরুরী |
৯৩৭৫ |
১০ বছর |
৬৪ |
অতি জরুরী |
১১৬৭৫ |
- স্মার্টকার্ড ফিঃ ৭৫০ টাকা
- ডেলিভারি চার্জ (ঐচ্ছিক)
- ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরঃ ৩৫০ টাকা
- অন্যান্য জেলাঃ ৫০০ টাকা
- আপনার পছন্দের মেয়াদ, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারি পছন্দের উপর নির্ভর করে মোট খরচ পরিবর্তিত হবে।
- উপরে উল্লিখিত ফি VAT ছাড়া।
- অনলাইনে আবেদন করলে 50 টাকা ডিজিটাল সেবা চার্জ প্রযোজ্য।
- ব্যাংক কমিশন ও মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে চার্জ আলাদাভাবে প্রযোজ্য।
- রেগুলারঃ ২১ কর্মদিবস
- জরুরিঃ ৭ কর্মদিবস
- অতি জরুরিঃ ২ কর্মদিবস
- কর্মদিবস বাদে শুক্রবার, শনিবার, রবিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে গণনা করা হয়।
- আবেদন গ্রহণের পর যদি কোন ত্রুটি থাকে, তাহলে সময় বেশি লাগতে পারে।
- ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট: https://www.epassport.gov.bd/
- ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর: https://dip.gov.bd/
ই-পাসপোর্টের সুবিধা সমূহ
- ই-পাসপোর্টে ইলেকট্রনিক চিপ থাকে যাতে পাসপোর্টধারীর জৈব তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
- এটি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটিকে দ্রুততর করে তোলে কারণ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও সহজেই পাসপোর্ট যাচাই করতে পারে।
- বিমানবন্দরে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুত প্রবেশ ও প্রস্থানের সুযোগ।
- ই-পাসপোর্ট জালিয়াতি ও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সহ আসে।
- ইলেকট্রনিক চিপে সংরক্ষিত তথ্য এনক্রিপ্ট করা থাকে, যা অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- পাসপোর্টের প্রতিটি স্পর্শে পরিবর্তন সনাক্ত করা যায়।
- এমআরপি-এর ৫ বছরের মেয়াদের তুলনায় ই-পাসপোর্ট ১০বছরের জন্য বৈধ।
- বারবার পাসপোর্ট নবায়নের ঝামেলা কমায়।
- ই-পাসপোর্টে পাসপোর্টধারীর ছবি, আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিস স্ক্যান সহ আরও বেশি তথ্য থাকে।
- এটি পাসপোর্টধারীর পরিচয় যাচাই করতে এবং জালিয়াতি রোধ করতে সহায়তা করে।
- অনেক দেশ ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য আগমন ভিসা সুবিধা প্রদান করে।
- অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করা এবং অনুমোদন পাওয়া সহজতর হতে পারে।
- ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিছু দেশে সীমান্ত পার হওয়া সহজ।
- কিছু অনলাইন পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধার জন্য ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার আগে, নির্ধারিত ফি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
- আপনার আবেদন জমা দেওয়ার আগে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করুন।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url