আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি আমাশয় রোগের খাবার তালিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। শিশুদের আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে জানতে হলে
আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃআমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কের সঠিক তথ্য জানার জন্য নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ
সহকারে অনুসরণ করুন।
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা মধ্যে নিম্নলিখিত অংশে যে সমস্ত খাবার তালিকা গুলো
রয়েছে। সেগুলো কেবলমাত্র একজন আমাশয় রোগীর খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আজকের আর্টিকেলটি সমস্ত জুড়ে থাকছে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে
বিস্তারিত বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য। আর এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনারা
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের মুখের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
উপকৃত হতে পারবেন বলে আমি আশা করছি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে আসি
আমাশয় রোগের খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্যসমূহ।
খাবার
পানীয়
- প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পানি কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস
- ORS Oral Rehydration Solution
- ডাবের পানি
- ফলের রস পেঁপে, আপেল, কলা
- হালকা চা দুধ ছাড়া
ভাত
- সাদা ভাত পানি দিয়ে রান্না করা
- পোলাও তেল কম ব্যবহার করে
- খিচুড়ি মসুর ডাল, মুগ ডাল, বা খেসারির ডাল দিয়ে
রুটি
- শুকনো রুটি তন্দুরি রুটি
- টোস্ট তেল ছাড়া
স্যুপ
মুরগির ঝোল চর্বি ছাড়া
মাছের ঝোল চর্বি ছাড়া
সবজির ঝোল লাউ, কুমড়া, বীট, গাজর
ডিম
- সেদ্ধ ডিম
- অমলেট (তেল ছাড়া)
মাছ
- ইলিশ (ভাপা বা পোড়া)
- রুই (ভাপা বা পোড়া)
- কাতলা (ভাপা বা পোড়া)
- চিংড়ি (ভাপা বা পোড়া)
মাংস
- মুরগির মাংস (চামড়া ছাড়া, ভাপা বা পোড়া)
- খাসির মাংস (চর্বি ছাড়া, ভাপা বা পোড়া)
ফল
- কলা (পাকা)
- পেঁপে (পাকা)
- আপেল (পাতলা করে কাটা)
- নাশপাতি (পাতলা করে কাটা)
সবজি
- লাউ (ভাপা বা পোড়া)
- কুমড়া (ভাপা বা পোড়া)
- বীট (সিদ্ধ)
- গাজর (সিদ্ধ)
যে সমস্ত খাবার পরিহার করতে হবে
- তেল-মসলাযুক্ত খাবার
- ঝাল খাবার
- আঁশযুক্ত খাবার (শাকসবজি, কাঁচা ফল, বাদাম)
- কাঁচা খাবার
- ফাস্ট ফুড
- ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (কফি, কোলা)
- অ্যালকোহল
আপনার যদি তীব্র ডায়রিয়া, জ্বর, বা রক্তপাত হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে
যোগাযোগ করুন।
এই খাবার তালিকা শুধুমাত্র একটি নির্দেশিকা। আপনার ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে
কথা বলে আপনার জন্য উপযুক্ত খাবার তালিকা তৈরি করুন।
আমাশয় রোগের লক্ষণ
আমাশয় হল একটি পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ যা জীবাণু, পরজীবী বা ভাইরাসের কারণে হতে
পারে। এটি সাধারণত পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা এবং জ্বরের কারণ হতে পারে।
আমাশয়ের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
পাতলা পায়খানা
- এটি আমাশয়ের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। পাতলা পায়খানা জলীয় বা রক্তাক্ত হতে পারে।
পেটে ব্যথা
- পেটে ব্যথা তীব্র বা খিঁচুনি হতে পারে।
জ্বর
- জ্বর হালকা বা উচ্চ হতে পারে।
আমাশয় রোগের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
- বমি বমি ভাব
- বমি
- মলত্যাগের সময় মলত্যাগে রক্ত বা শ্লেষ্মা
- পেট ফোলা
- ক্ষুধামান্দ্য
- ওজন হ্রাস
- ক্লান্তি
আপনার যদি আমাশয়ের লক্ষণ থাকে তবে হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে
তরল পান করুন, যেমন পানি, ঝোল এবং ORS। আপনার হালকা খাবারও খাওয়া উচিত, যেমন
ভাত, টোস্ট এবং কলা। আপনার লক্ষণগুলি যদি গুরুতর হয় বা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী
হয় তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
আমাশয় প্রতিরোধ করতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে
- আপনার হাত নিয়মিত ধোয়া: বিশেষ করে টয়লেট ব্যবহার করার পরে এবং খাওয়ার আগে।
- নিরাপদ খাবার খাওয়া: খাবার ভালভাবে রান্না করা এবং পরিবেশন করার আগে ঠান্ডা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- নিরাপদ পানি পান করা: পানি ফুটিয়ে খাওয়া বা বোতলজাত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: আপনার বাড়ি এবং রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাশয় হলে করণীয়
প্রথমত, হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ
- প্রচুর পরিমাণে পানি, ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন) এবং স্বচ্ছ তরল পান করুন।
- পাতলা স্যুপ, ঝোল, খিচুড়ি খান।
- তেল-মসলাযুক্ত, ঝাল, আঁশযুক্ত, কাঁচা খাবার পরিহার করুন।
- ফাস্ট ফুড, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল পরিহার করুন।
চিকিৎসা
- আপনার যদি তীব্র ডায়রিয়া, জ্বর, বা রক্তপাত হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
- ডাক্তার আপনার লক্ষণের উপর নির্ভর করে ঔষধ দিতে পারেন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
অন্যান্য
- বারবার হাত ধোয়া: সাবান এবং পানি দিয়ে আপনার হাত ধোয়া, বিশেষ করে টয়লেট ব্যবহার করার পরে এবং খাবার পরিচালনা করার আগে।
- খাবার ভালোভাবে রান্না করা: নিশ্চিত করুন যে আপনার খাবার সঠিকভাবে রান্না করা এবং পরিবেশন করা হয়েছে।
- পরিষ্কার পানি পান করুন: বোতলজাত বা ফিল্টার করা পানি পান করুন, বিশেষ করে আপনি যদি এমন এলাকায় ভ্রমণ করেন যেখানে পানি নিরাপদ নাও হতে পারে।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: আপনার বাড়ি এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
শিশু এবং বয়স্কদের আমাশয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার যদি পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয় (তৃষ্ণার্ত হওয়া, শুষ্ক মুখ এবং জিহ্বা,
কম প্রস্রাব করা, মাথা ঘোরা এবং মাথা ঘোরা), তাহলে তারাতারি ডাক্তারের সাথে দেখা
করুন।
আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
বর্তমান সময়ে বাজারগুলোতে আমাশয় রোগের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে কোন
ওষুধগুলো আপনার জন্য নিরাপদ এবং উপযুক্ত তা কেবলমাত্র আপনি একজন চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।আমাশয় রোগের ঔষধের নাম নির্ভর করে আমাশয়ের ধরন
এবং তীব্রতার উপর। নিচে আমাশয় রোগের ওষুধের নাম সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হল।
কিছু সাধারণ ঔষধের নাম
অ্যান্টিবায়োটিক: জীবাণুর কারণে আমাশয়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
দেওয়া হয়। কিছু সাধারণ
- Ciprofloxacin
- Metronidazole
- Norfloxacin
- Ofloxacin
অ্যান্টি-ডায়রিয়াল ঔষধ: পাতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
অ্যান্টি-ডায়রিয়াল ঔষধ দেওয়া হয়।
- Loperamide
- Diphenoxylate
ORS: পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য ORS (Oral Rehydration Solution) ব্যবহার
করা হয়। ORS লবণ, পানি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণ।
কিছু জনপ্রিয় ঔষধের ব্র্যান্ড নাম
- Ciprofloxacin: Ciproxin, Ciplox
- Metronidazole: Flagyl, Metrogyl
- Norfloxacin: Norflox, Noroxin
- Ofloxacin: Ofloxin, Otrex
- Loperamide: Imodium, Lomotil
- Diphenoxylate: Lomoti
আমাশয় রোগের কিছু ঘরোয়া ঔষধ
- কাঁচা কলা: কাঁচা কলা পাতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- পেঁপে: পেঁপেতে পেপেইন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- নারকেলের পানি: নারকেলের পানি পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে।
- টক দই: টক দইতে প্রোবায়োটিক থাকে যা পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষায় সাহায্য করে।
আমাশয় রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পাতলা পায়খানা ও বমির কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ORS, ঝোল, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি পান করুন।
- হালকা খাবার খান: ভাত, মসুর ডালের তরকারি, সবজি (লাউ, লঙ্কা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স), কলা, পেঁপে, নারকেলের পানি ইত্যাদি খান।
- বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং শরীরকে ক্লান্ত করবেন না।
শিশুদের আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে
বর্তমানে আমাশয় রোগ সাধারণত শিশু এবং বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি এ রোগে আক্রান্ত
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শিশুদের আমাশয় রোগে আক্রান্ত হলে আপনি বিচলিত বা
চিন্তিত না হয়ে কি কি খাবার খাওয়া যাবে তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের
তথ্যগুলো আপনাকে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। নিচে শিশুদের আমাশয়
হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে তার তালিকা উল্লেখ করা হলো।
হালকা খাবার
- পাতলা ভাত: শিশুকে পাতলা ভাত খাওয়ান।
- মসুর ডালের তরকারি: মসুর ডালের তরকারি (চর্বি কম) খাওয়ান।
- সিদ্ধ সবজি: লাউ, লঙ্কা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স ইত্যাদি সিদ্ধ সবজি খাওয়ান।
- পাকা কলা: পাকা কলা খাওয়ান।
- পেঁপে: পেঁপে খাওয়ান।
- নারকেলের পানি: নারকেলের পানি খাওয়ান।
পানীয়
- ORS: লবণ ও পানি মিশ্রিত ORS খাওয়ান।
- লবণ-পানি: লবণ-পানি খাওয়ান।
- ঝোল: মাংস/মাছ/সবজির ঝোল খাওয়ান।
- বাদামী চা: চিনি ছাড়া বাদামী চা খাওয়ান।
পুষ্টিকর খাবার
- মুরগির ঝোল: চর্বি কম মুরগির ঝোল খাওয়ান।
- মাছের ঝোল: চর্বি কম মাছের ঝোল খাওয়ান।
- ডিম: সিদ্ধ/ভাজা ডিম খাওয়ান।
- দই: মিষ্টি ছাড়া দই খাওয়ান।
- পোলাও: চর্বি কম পোলাও খাওয়ান।
- সিদ্ধ সবজি: কুমড়া, বীট, গাজর ইত্যাদি সিদ্ধ সবজি খাওয়ান।
- ফল: আপেল, পেঁপে, কলা ইত্যাদি ফল খাওয়ান।
আমাশয় রোগের যে সমস্ত খাবার পরিহার্য
- তেল-মশলাযুক্ত খাবার: তেল-মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
- ঝাল খাবার: ঝাল খাবার পরিহার করুন।
- বাইরের খাবার: বাইরের খাবার (যেমন: রাস্তার খাবার, ফাস্ট ফুড) পরিহার করুন।
- ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (যেমন: কফি, কোলা) পরিহার করুন।
- অ্যালকোহল: অ্যালকোহল পরিহার করুন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- বারবার হাত ধোয়া: শিশুকে বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।
- খাবার ভালোভাবে রান্না করা: খাবার ভালোভাবে রান্না করে শিশুকে খাওয়ান।
- পানি ফুটিয়ে খাওয়া: পানি ফুটিয়ে শিশুকে খাওয়ান।
রক্ত আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
রক্ত আমাশয়, যা "আমিবিক ডিসেন্ট্রি" নামেও পরিচিত, একটি গুরুতর সংক্রমণ যা
আমাশয়ের ক্ষতি করে। এই রোগে পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, জ্বর এবং মলত্যাগে রক্ত
হতে পারে।
রক্ত আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
খাবার
পানীয়
- প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পানি (কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস)
- ORS (Oral Rehydration Solution)
- ডাবের পানি
- ফলের রস (পেঁপে, আপেল, কলা)
- হালকা চা (দুধ ছাড়া)
ভাত
- সাদা ভাত (পানি দিয়ে রান্না করা)
- পোলাও (তেল কম ব্যবহার করে)
- খিচুড়ি (মসুর ডাল, মুগ ডাল, বা খেসারির ডাল দিয়ে)
রুটি
- শুকনো রুটি (তন্দুরি রুটি)
- টোস্ট (তেল ছাড়া)
স্যুপ
- মুরগির ঝোল (চর্বি ছাড়া)
- মাছের ঝোল (চর্বি ছাড়া)
- সবজির ঝোল (লাউ, কুমড়া, বীট, গাজর)
ডিম
- সেদ্ধ ডিম
- অমলেট (তেল ছাড়া)
মাছ
- ইলিশ (ভাপা বা পোড়া)
- রুই (ভাপা বা পোড়া)
- কাতলা (ভাপা বা পোড়া)
- চিংড়ি (ভাপা বা পোড়া)
মাংস
- মুরগির মাংস (চামড়া ছাড়া, ভাপা বা পোড়া)
- খাসির মাংস (চর্বি ছাড়া, ভাপা বা পোড়া)
ফল
- কলা (পাকা)
- পেঁপে (পাকা)
- আপেল (পাতলা করে কাটা)
- নাশপাতি (পাতলা করে কাটা)
সবজি
- লাউ (ভাপা বা পোড়া)
- কুমড়া (ভাপা বা পোড়া)
- বীট (সিদ্ধ)
- গাজর (সিদ্ধ)
আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যায়
আমাশয় হলে ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকের মনে সংশয় থাকে। অনেকে মনে করেন ডিম খেলে
আমাশয় আরও খারাপ হতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন ডিম খাওয়া আমাশয়ে উপকারী।
ডিম খাওয়ার কিছু সুবিধা
- পুষ্টি: ডিম প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এটি আমাশয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
- হজম করা সহজ: ডিম হজম করা সহজ একটি খাবার। এটি আমাশয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উপকারী হতে পারে কারণ তাদের হজমশক্তি দুর্বল হতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি আমাশয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংক্রমণ থেকে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।
আমাশয় হলে ডিম খাওয়া যাবে কি না, তা নির্ভর করে কিছু বিষয়ের উপর
আমাশয়ের ধরণ
- ব্যাকটেরিয়াজনিত আমাশয়ে: ডিম খাওয়া নিরাপদ।
- ভাইরাল আমাশয়ে: ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
- আমিবিক ডিসেন্ট্রিতে: ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
আমাশয়ের তীব্রতা
- হালকা আমাশয়ে: ডিম খাওয়া যাবে।
- তীব্র আমাশয়ে: ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
ডিমের রান্নার পদ্ধতি
- সিদ্ধ ডিম: সিদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
- অর্ধসিদ্ধ ডিম: অর্ধসিদ্ধ ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
- কাঁচা ডিম: কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়।
আমাশয় হলে ডিম খাওয়ার কিছু টিপস
- শুধুমাত্র সিদ্ধ ডিম খান।
- ডিমের সাদা অংশ বেশি খান।
- একবারে একটা ডিমের বেশি খাবেন না।
- ডিম খাওয়ার পর পানি পান করুন।
- আপনার যদি ডিম খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হয়, তাহলে ডিম খাওয়া বন্ধ করুন।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং আমাশয়
রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য অনেক কিছু জেনেছেন। আজকের
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে, আপনার
পরিচিতদের সাথে বেশি বেশি এই বিষয় সম্পর্কে শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url