বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য।আসল সাবুদানা চেনার উপায়
জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে
নিচের সম্পূর্ণ তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করুন।
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার ও বাড়তি পুষ্টি যোগানোর জন্য সাধারণত
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার জন্য
নির্দিষ্ট পরিমিত পরিমাণে খাওয়ানো উচিত। যদি কোনক্রমে বাচ্চাদের অতিরিক্ত
সাবুদানা খাওয়ান হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বাচ্চার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের জটিলতার
সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের মুখের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা বিস্তারিত জেনে আসি
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা
- হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: সাবুদানা হজম করা সহজ, তাই এটি বাচ্চাদের জন্য খুব ভালো খাবার। এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- শক্তি যোগায়: সাবুদানাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা বাচ্চাদের দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ বাচ্চারা ক্ষুধার্ত থাকে না।
- পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ: সাবুদানাতে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, এবং খনিজ লবণ যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, এবং ফসফরাস থাকে। এগুলো বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সাবুদানাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ঠান্ডা, কাশি, এবং জ্বরের মতো সংক্রমণ থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক: সাবুদানাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য এটি একটি ভালো খাবার।
- গ্লুটেন-মুক্ত: সাবুদানা গ্লুটেন-মুক্ত, তাই যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য এটি একটি নিরাপদ খাবার।
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার অপকারিতা
- অ্যালার্জির ঝুঁকি: কিছু বাচ্চাদের সাবুদানা খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। যদি বাচ্চার সাবুদানা খাওয়ার পর কোনো অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন ফুসকুড়ি, চুলকানি, বা বমি, তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- অতিরিক্ত ক্যালোরি: সাবুদানাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যদি বাচ্চারা অতিরিক্ত সাবুদানা খায় তাহলে তাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- পুষ্টির ঘাটতি: সাবুদানাতে সব ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে না। তাই বাচ্চাদের শুধু সাবুদানা খাওয়ালে তাদের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- হজমের সমস্যা: কিছু বাচ্চাদের সাবুদানা হজম করতে সমস্যা হতে পারে। যদি বাচ্চার সাবুদানা খাওয়ার পর পেট খারাপ, বমি, বা ডায়রিয়া হয় তাহলে তাকে সাবুদানা খাওয়া বন্ধ করুন।
- লবণ ও চিনি: বাজারে যে সাবুদানা পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও চিনি থাকে। বাচ্চাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ানোর সময় লবণ ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিন।
বাচ্চাদের জন্য সাবুদানা রান্নার কিছু টিপস
- সাবুদানা ভালো করে ধুয়ে 30 মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
- সাবুদানা দিয়ে খিচুড়ি, পোলাও, খীর, ইত্যাদি তৈরি করে বাচ্চাদের খাওয়ান।
- সাবুদানার সাথে শাকসবজি, ডিম, মাংস, ইত্যাদি মিশিয়ে রান্না করুন।
- সাবুদানা রান্নার সময় তেল বা ঘি কম ব্যবহার করুন।
- বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সাবুদানা বাচ্চাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া
উচিত। বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আসল সাবুদানা চেনার উপায়
বর্তমান সময়ে হাটেবাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সাবুদানা পাওয়া যায়। তবে আসল
সাবুদানা চেনা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা সাবুদানার বিষয়ে আপনার যদি কোন ধরনের
প্রাথমিক অভিজ্ঞতা কিংবা উপস্থিতি জ্ঞান যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি কখনো আসল
সাবুদানা ও নকল সাবুদানা পার্থক্য খুঁজে বের করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটির
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ
মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চাই যে বর্তমান সময়ে হাটে বাজারগুলোতে আসল
সাবুদানা চেনার উপায় যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিত
অংশে আসল সাবুদানা চেনার উপায় আলোচনা করি।
আসল সাবুদানা চেনার উপায়
দর্শনের মাধ্যমে
- আকার: আসল সাবুদানা ছোট, সাদা এবং মসৃণ হয়। নকল সাবুদানা তুলনামূলকভাবে বড়, হালকা হলুদ এবং রুক্ষ হয়।
- স্বচ্ছতা: আসল সাবুদানা স্বচ্ছ হয়, নকল সাবুদানা অস্বচ্ছ।
- ভাঙা দানা: আসল সাবুদানায় খুব কম ভাঙা দানা থাকে, নকল সাবুদানায় অনেক ভাঙা দানা থাকে।
স্পর্শের মাধ্যমে
- শক্ততা: আসল সাবুদানা শক্ত হয়, নকল সাবুদানা নরম হয়।
- ভেজা অবস্থা: আসল সাবুদানা ভিজিয়ে রাখলে স্পর্শে নরম এবং স্লাইমি হয় না, নকল সাবুদানা ভিজিয়ে রাখলে স্পর্শে নরম এবং স্লাইমি হয়।
পানিতে পরীক্ষা করে
- গলে যাওয়া: আসল সাবুদানা পানিতে দিলে দ্রুত গলে না, নকল সাবুদানা দ্রুত গলে যায়।
- পানির রঙ: আসল সাবুদানা পানিতে দিলে পানির রঙ পরিবর্তন হয় না, নকল সাবুদানা পানিতে দিলে পানি ঘোলাটে হয়ে যায়।
রান্নার পরীক্ষা
- ফুলে যাওয়া: আসল সাবুদানা রান্নার পর অনেক বেশি ফুলে যায়, নকল সাবুদানা তুলনামূলকভাবে কম ফুলে যায়।
- স্বাদ: আসল সাবুদানার নিজস্ব স্বাদ থাকে, নকল সাবুদানার স্বাদ তুলনামূলকভাবে ফ্যাকাশে।
সাবুদানা বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের সাবুদানা কিনুন।
- সাবুদানা কেনার আগে প্যাকেজিং ভালো করে দেখে নিন।
- সাবুদানা কেনার পর পানিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
উল্লেখ্য: এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে আপনি আসল এবং নকল সাবুদানার মধ্যে পার্থক্য
করতে পারবেন। তবে, 100% নিশ্চিত হতে চাইলে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
সাবুদানা খেলে কি মোটা হয়
সাবুদানা খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে এটি নির্ভর করে আপনি কতটা খাচ্ছেন
এবং আপনার সামগ্রিক খাদ্য এবং জীবনধারার উপর। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি
যদি পরিমিত পরিমাণে সাবুদানা খেয়ে থাকেন তাহলে মোটা হওয়ার কোন ধরনের সম্ভাবনা
থাকে না। কেননা যে কোন জিনিসের অতিরিক্ত খাওয়া শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
যেমন হয়ে থাকে তেমনি ভাবে সাবুদানা অতিরিক্ত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কারণসমূহ
- ক্যালোরি: ১০০ গ্রাম সাবুদানায় ৩৫৪ ক্যালোরি থাকে।
- কার্বোহাইড্রেট: ১০০ গ্রাম সাবুদানায় ৮৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে।
- ফাইবার: ১০০ গ্রাম সাবুদানায় ৮.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে।
- প্রোটিন: ১০০ গ্রাম সাবুদানায় ০.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
- চর্বি: ১০০ গ্রাম সাবুদানায় ০.২ গ্রাম চর্বি থাকে।
মোটা হতে পারে
- যদি অতিরিক্ত খান: সাবুদানাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি, প্রায় ৮৫%। তাই অতিরিক্ত সাবুদানা খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতে পারে এবং ওজন বাড়তে পারে।
- যদি অন্যান্য খাবার কম খান: যদি সাবুদানা খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার কম খান, তাহলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং ওজন বাড়তে পারে।
- যদি শারীরিক পরিশ্রম কম করেন: যদি সাবুদানা খাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাহলে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়তে পারবে না এবং ওজন বাড়তে পারে।
মোটা হবে না
যদি পরিমিত খান: সাবুদানা পরিমিত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
যদি পুষ্টিকর খাবার খান: সাবুদানার সাথে সাথে যদি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার
খান, তাহলে পুষ্টির ঘাটতি হবে না এবং ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
যদি শারীরিক পরিশ্রম করেন: সাবুদানা খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত শারীরিক
পরিশ্রম করেন, তাহলে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়ে যাবে এবং ওজন বাড়ার
সম্ভাবনা কম।
পরিশেষে
- সাবুদানা খেলে মোটা হবে কি না তা নির্ভর করে আপনার খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার উপর।
- পরিমিত পরিমাণে সাবুদানা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
- সাবুদানার সাথে সাথে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
- পরিমিত পরিমাণে সাবুদানা খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না।
সাবুদানা খেলে কি ঠান্ডা লাগে
সাবুদানা খেলে ঠান্ডা লাগার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ঠান্ডা লাগা একটি ভাইরাস
সংক্রমণ, এবং খাবার ঠান্ডা লাগার জন্য সরাসরি দায়ী নয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে
সাবুদানা খাওয়ার পর ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলো
নিম্নলিখিত অংশে বিস্তারিতভাবে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হলো। যে তথ্যগুলার মাধ্যমে
আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।
- ঠান্ডা আবহাওয়ায় খাওয়া: আপনি যদি ঠান্ডা আবহাওয়ায় সাবুদানা খান, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা কমে ঠান্ডা লাগতে পারে।
- অ্যালার্জি: যদি আপনার সাবুদানার প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
- অপরিষ্কার খাবার: যদি অপরিষ্কার বা দূষিত সাবুদানা খান, তাহলে খাদ্য বিষক্রিয়ার ফলে ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সাবধানতা
- ঠান্ডা আবহাওয়ায় সাবুদানা খাওয়ার পর গরম পানি পান করুন এবং গরম কাপড় পরুন।
- সাবুদানা খাওয়ার পর যদি ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- সাবুদানা পরিষ্কারভাবে তৈরি ও সংরক্ষণ করা উচিত।
- ঠান্ডা পরিবেশে সাবুদানা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
মনে রাখবেন
- ঠান্ডা লাগা একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ।
- সাবুদানা খাওয়ার সাথে ঠান্ডা লাগার কোন সম্পর্ক নেই।
- সাবধানতা অবলম্বন করলে সাবুদানা খেয়ে ঠান্ডা লাগা এড়ানো সম্ভব।
সাবুদানা খেলে ঠান্ডা লাগার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে, কিছু ক্ষেত্রে
ঠান্ডা আবহাওয়ায় খাওয়া, অ্যালার্জি, অথবা অপরিষ্কার খাবার ঠান্ডা লাগার কারণ
হতে পারে। সাবধানতা অবলম্বন করে এবং উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে
আপনি ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
বাচ্চাদের জন্য সুজির উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য সুজির উপকারিতা অপরিসীম। কেননা অনেক সময় দেখা যায় যে একটি শিশু
যখন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই
না। সে ক্ষেত্রে অনেকে আবার বাচ্চাকে মায়ের দুধের বিকল্পে সাবুদানা বা সুজি
খাওয়ানো হয়ে থাকে। এতে করে দেখা যায় যে বাচ্চাটি মায়ের বুকের দুধের বিকল্পে
সুজি খাওয়ানোর ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে। যাতে করে বাচ্চাটির
শারীরিক বৃদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য সুজির যে সমস্ত
উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো নিম্নলিখিত অংশে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
বাচ্চাদের জন্য সুজির উপকারিতা
পুষ্টিগুণ
- কার্বোহাইড্রেট: সুজিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা বাচ্চাদের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।
- প্রোটিন: সুজিতে প্রোটিনের পরিমাণও ভালো, যা বাচ্চাদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- আয়রন: সুজিতে আয়রনের পরিমাণও ভালো, যা বাচ্চাদের রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে।
- ফাইবার: সুজিতে ফাইবারের পরিমাণও ভালো, যা বাচ্চাদের হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন: সুজিতে ভিটামিন B1, B2, B3, B6, এবং E থাকে যা বাচ্চাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সুজির আরও কিছু উপকারিতা
- হজম করা সহজ: সুজি হজম করা খুব সহজ, তাই বাচ্চাদের জন্য এটি একটি ভালো খাবার।
- পুষ্টিকর: সুজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যা বাচ্চাদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- বহুমুখী: সুজি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করা যায়, যেমন সুজির খিচুড়ি, সুজির পায়েস, সুজির বরফি ইত্যাদি।
- সুস্বাদু: সুজির খাবার খুব সুস্বাদু হয়, তাই বাচ্চারা এগুলো খেতে পছন্দ করে।
সতর্কতা
- ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের সুজি খাওয়ানো উচিত নয়।
- সুজি খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বাচ্চাদের কোন অ্যালার্জি না থাকে।
- সুজি দিয়ে তৈরি খাবার যেন খুব বেশি মিষ্টি বা তেল-মসলাযুক্ত না হয়।
সুজি বাচ্চাদের জন্য একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। তবে সঠিক পরিমাণে এবং
সঠিকভাবে খাওয়ানো উচিত।
সাবুদানা কি দিয়ে তৈরি হয়
সাবুদানা দুটি প্রধান উপাদান দিয়ে তৈরি হয়:
সাগু
- সাগু হল এক প্রকার স্টার্চ যা বিভিন্ন উষ্ণমন্ডলীয় পাম গাছের কাণ্ড থেকে নিষ্কাশন করা হয়।
- সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মেট্রোক্সিলন সাগু (Metroxylon sagu) নামক গাছের সাগু।
- সাগুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং এটি হজম করা সহজ।
ক্যাসাভা
- ক্যাসাভা (Manihot esculenta) হল এক প্রকার মূল শাকসবজি।
- ক্যাসাভা থেকেও সাগু তৈরি করা হয়, তবে এটি সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
- ক্যাসাভাতে সায়ানাইড থাকে যা বিষাক্ত, তাই এটি সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করার পরই ব্যবহার করা হয়।
সাবুদানা তৈরির প্রক্রিয়া
- পাম গাছের কাণ্ড কেটে ভেতরের নরম অংশ বের করা হয়।
- নরম অংশ পানিতে ধুয়ে স্টার্চ আলাদা করা হয়।
- স্টার্চ পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং তারপর শুকানো হয়।
- শুকনো স্টার্চ গুঁড়ো করে নেওয়া হয় এবং এটিকেই সাবুদানা বলা হয়।
বিভিন্ন ধরণের সাবুদানা
- বাজারে বিভিন্ন ধরণের সাবুদানা পাওয়া যায়।
- সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সাদা সাবুদানা।
- এছাড়াও কালো, বাদামী, এবং লাল রঙের সাবুদানাও পাওয়া যায়।
সাবুদানা ব্যবহার
- সাবুদানা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করা হয়।
- সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সাবুদানার খিচুড়ি।
- এছাড়াও সাবুদানা দিয়ে বরফি, খীর, পায়েস, এবং ভাজিও তৈরি করা হয়।
পুষ্টিগুণ
- সাবুদানাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
- এছাড়াও সাবুদানাতে প্রোটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
সাবধানতা
- সাবুদানা হজম করা সহজ হলেও, অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের সাবুদানা সাবধানে খাওয়া উচিত।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ চ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং
বাচ্চাদের সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য
অনেক কিছু জেনেছেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে বেশি বেশি এই বিষয় সম্পর্কে শেয়ার করবেন।
এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন
ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url