গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি জানতে চাচ্ছেন গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ

পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করুন।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ

গর্ভাবস্থায়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গর্ভবতী মা এবং শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গর্ভ অবস্থায় একজন শিশু যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না পায়। তবে সে শিশুটি অপুষ্টি জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকে।তবে কিছু ফল গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেলটির সমস্ত জুড়ে থাকছে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এই সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয় গুলো আলোচনা করি।
নিম্নলিখিত ফলগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিষেধ
  • আনারস: আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পেঁপে: পেঁপেতে পেপেইন নামক এনজাইম থাকে যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কাঁচা আম: কাঁচা আমে অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যা পেট খারাপের কারণ হতে পারে।
  • কামরাঙা: কামরাঙাতে অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যা পেট খারাপের কারণ হতে পারে।
  • আঙুর: আঙুরে অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে।
  • খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • তেঁতুল: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমায় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সতর্কতার সহিত খাওয়া উচিত এমন ফল
  • কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
  • কমলা: কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
  • ফলের বীজ এবং খোসা ফেলে দিন।
  • অতিরিক্ত ফল খাবেন না।
  • কোন ফল খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু সবজি গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
নিম্নলিখিত সবজিগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়
  • কাঁচা পেঁপে: কাঁচা পেঁপেতে পেপেইন নামক এনজাইম থাকে যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কাঁচা বেগুন: কাঁচা বেগুনে অ্যালকালয়েড নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • মেথি: মেথি জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কাঁচা মরিচ: কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপসাইসিন থাকে যা পেট খারাপের কারণ হতে পারে।
  • কাঁচা আলু: কাঁচা আলুতে সোলানিন নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • শালগম: শালগমে গয়ট্রোজেন নামক উপাদান থাকে যা থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ ব্যাহত করতে পারে।
  • কাঁচা পেঁয়াজ: কাঁচা পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • কাঁচা রসুন: কাঁচা রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালিসিন থাকে যা রক্তের ঘনত্ব কমাতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সাবধানে খাওয়া উচিত এমন সবজি
  • পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে যা ক্যালসিয়ামের শোষণ ব্যাহত করতে পারে।
  • বিট: বিটে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত বিট খাওয়া ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
  • টমেটো: টমেটোতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সবজি খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • সবজি খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
  • সবজি ভালো করে রান্না করে খান।
  • অতিরিক্ত সবজি খাবেন না।
  • কোন সবজি খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত আছে। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চাই গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য।
কিছু লোকের ধারণা
  • মুড়ি শুকনো খাবার, তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি ভালো নয়।
  • মুড়িতে ফাইবার বেশি থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
  • মুড়িতে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে, তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি উপকারী নয়।
অন্যদিকে, কিছু লোকের ধারণা
  • মুড়ি হালকা খাবার, তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি ভালো।
  • মুড়িতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • মুড়িতে আয়রন বেশি থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রয়োজনীয়।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া নিরাপদ কিনা তা নির্ভর করে
  • মুড়ি কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার উপর: অতিরিক্ত পরিমাণে মুড়ি খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
  • মুড়ি কীভাবে খাওয়া হচ্ছে তার উপর: মুড়ি যদি পানি বা দুধের সাথে খাওয়া হয়, তাহলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
  • গর্ভবতী মায়ের শারীরিক অবস্থার উপর: যদি গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও জটিলতা থাকে, তাহলে মুড়ি খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার সুবিধা
  • হালকা খাবার: মুড়ি হালকা খাবার, তাই এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো।
  • শক্তির উৎস: মুড়িতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • আয়রনের উৎস: মুড়িতে আয়রন বেশি থাকে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রয়োজনীয়।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার অসুবিধা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: অতিরিক্ত পরিমাণে মুড়ি খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
  • পুষ্টির অভাব: মুড়িতে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে, তাই এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য একমাত্র খাবার হিসেবে উপযুক্ত নয়।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার টিপস
  • পরিমাণে খাবেন: অতিরিক্ত পরিমাণে মুড়ি খাবেন না।
  • পানি বা দুধের সাথে খাবেন: মুড়ি যদি পানি বা দুধের সাথে খাওয়া হয়, তাহলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: যদি গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও জটিলতা থাকে।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফল পুষ্টির একটি ভালো উৎস, এবং গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ফল খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত এমন কিছু ফলের তালিকা
  • আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে।
  • কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন B6 এবং ফাইবার থাকে।
  • কমলা: কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ফাইবার থাকে।
  • পেঁপে: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C এবং ফাইবার থাকে।
  • আঙ্গুর: আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন K, C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
  • স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, ফাইবার এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে।
  • জাম্বুরা: জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে।
  • আনারস: আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
  • খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন এবং পটাশিয়াম থাকে।
  • পেয়ারা: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে।
গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার টিপস
  • ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
  • ফলের বীজ এবং খোসা ফেলে দিন।
  • অতিরিক্ত ফল খাবেন না।
  • কোন ফল খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া নিরাপদ, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
টক খাবার গর্ভাবস্থায় যেসব সুবিধা প্রদান করে
  • পাচন উন্নত করে: টক খাবার হজম রস নিঃসরণ বৃদ্ধি করে, যা হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • গরমের সময় রিফ্রেশ করে: গরমের সময় টক খাবার গ্রহণ শরীরকে রিফ্রেশ করে এবং তৃষ্ণা নিবারণে সহায়তা করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: টক খাবারে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
টক খাবার গর্ভাবস্থায় যেসব অসুবিধা প্রদান করে
  • অম্বল: অতিরিক্ত টক খাবার খাওয়ার ফলে অম্বল, পেট জ্বালা, বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • দাঁতের ক্ষয়: টক খাবার দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।
  • অ্যালার্জি: কিছু টক খাবার অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় টক খাওয়ার টিপস
  • পরিমাণে খাবেন: অতিরিক্ত টক খাবার খাবেন না।
  • খাওয়ার পর পানি পান করুন: টক খাবার খাওয়ার পর পানি পান করলে মুখের অম্লতা কমাতে সাহায্য করে।
  • দাঁত ব্রাশ করুন: টক খাবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
কোন টক খাবার খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভাবস্থায় টক খাবারের কিছু উদাহরণ
  • লেবু
  • আম
  • কমলা
  • আনারস
  • টক দই
  • কাঁচা আমড়া
  • কাঁচা পেঁপে
গর্ভাবস্থায় টক খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত টক খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং কোন টক খাবার খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায়, একজন মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। এই সময় কিছু কাজ করা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যেসব কাজ করা উচিত নয়
  • ধূমপান: ধূমপান গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধূমপান গর্ভপাত, অকাল জন্ম, নিম্ন ওজনের শিশু জন্ম এবং জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ায়।
  • মদ্যপান: মদ্যপান গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মদ্যপান গর্ভপাত, অকাল জন্ম, নিম্ন ওজনের শিশু জন্ম এবং জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ায়।
  • মাদকদ্রব্য সেবন: মাদকদ্রব্য সেবন গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মাদকদ্রব্য সেবন গর্ভপাত, অকাল জন্ম, নিম্ন ওজনের শিশু জন্ম এবং জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ: অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভপাত, অকাল জন্ম এবং নিম্ন ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়াম গর্ভপাত, অকাল জন্ম এবং প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ভারী জিনিস তোলা: ভারী জিনিস তোলা পেটে ব্যথা, রক্তপাত এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • উঁচু স্থানে কাজ করা: উঁচু স্থানে কাজ করা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, যা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • ঝাঁকুনিপূর্ণ যানবাহনে চলাচল: ঝাঁকুনিপূর্ণ যানবাহনে চলাচল পেটে ব্যথা এবং রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসা: সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অন্যান্য
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত ঘুম গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • ওষুধ সেবন: গর্ভাবস্থায় কোনও ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় সাবধানে করা উচিত এমন কিছু কাজ
  • দীর্ঘ যাত্রা: দীর্ঘ যাত্রা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্লান্তিকর হতে পারে।
  • উষ্ণ আবহাওয়ায় বেরোনো: উষ্ণ আবহাওয়ায় বেরোনো গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর 

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি

হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া নিরাপদ। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য উপকারী।
গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার সুবিধা
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: করলায় থাকা মারগোসাইডিন নামক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: করলায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: করলায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • রক্তাল্পতা দূর করে: করলায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • চুল ও ত্বকের জন্য ভালো: করলায় থাকা ভিটামিন এ চুল ও ত্বকের জন্য ভালো।
গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার টিপস
  • পরিমাণে খাবেন: অতিরিক্ত করলা খাওয়া উচিত নয়।
  • রান্না করে খাবেন: করলা কাঁচা খাওয়ার পরিবর্তে রান্না করে খাওয়া উচিত।
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণে করলা খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণে করলা খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত করলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণে করলা খাওয়া উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
গর্ভাবস্থায় করলার বিকল্প
  • কাঁকরোল: কাঁকরোলেও করলার মতো অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।
  • লাউ: লাউও করলার মতো অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।
  • পেঁপে: পেঁপেতেও করলার মতো অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।
গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ ফলই খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। তবে কিছু নির্দিষ্ট ফল এড়িয়ে চলা ভালো কারণ এগুলো গর্ভবতী মা বা ভ্রূণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এই বিশেষ সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য অনেক কিছু জেনেছে। আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এই বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url