বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কার্যকরী কারণ
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় প্রিয় পাঠক আপনি কি বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি
কার্যকরী কারণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের কি সমস্যা হয় জানতে হলে আর্টিকেল নিয়ে মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবয়সন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণসমূহ জানতে হলে নিচের
তথ্যগুলো সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কার্যকরী কারণ
বয়ঃসন্ধিকাল হলো শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্কত্বে রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ
সময়কাল। এই সময়ে মেয়েদের শরীরে হরমোনের (বিশেষ করে এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন)
ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়, যা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। তেমনি
ভাবে বয়ঃসন্ধিকাল হলো মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যখন শিশুরা
প্রাপ্তবয়স্কদের
আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
দিকে পরিণত হয়। আর এই সময়কালে, মেয়েদের শরীরে এবং মনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন
আসে। আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য মূল বিষয় বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক
পরিবর্তনের.১০টি কার্যকরী কারণ। তাই আমরা কথা না বাড়িয়ে চলুন বিস্তারিত সঠিক
তথ্য জেনে আসি।
শারীরিক পরিবর্তনের ১০টি কারণ
- হরমোনের পরিবর্তন: এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী।
- ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর বিকাশ: প্রতি মাসে, একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয়ে পরিপক্ক হয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবে ছাড়া পড়ে।
- মাসিকের শুরু: যখন ডিম্বাণু গর্ভাশয়ে নিষিক্ত হয় না, তখন গর্ভাশয়ের আস্তরণ ছিঁড়ে যায় এবং যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়, যা মাসিক নামে পরিচিত।
- স্তন বৃদ্ধি: স্তন গ্রন্থিগুলি এস্ট্রোজেনের প্রভাবে বৃদ্ধি পায় এবং স্তনবৃন্ত তৈরি হয়।
- যোনিপথ এবং জরায়ুর বৃদ্ধি: প্রজনন অঙ্গগুলি এস্ট্রোজেনের প্রভাবে বৃদ্ধি পায় এবং প্রসবের জন্য প্রস্তুত হয়।
- লোম গজানো: লজ্জাঞ্চল, বগল এবং পাগুলিতে লোম গজাতে শুরু করে।
- শরীরের গন্ধ পরিবর্তন: অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলি সক্রিয় হয় এবং শরীরে একটি নতুন গন্ধ তৈরি করে।
- ত্বকের পরিবর্তন: ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে।
- উচ্চতা বৃদ্ধি: মেয়েরা এই সময়ে দ্রুত লম্বা হয় এবং তাদের পূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছায়।
- ওজন বৃদ্ধি: শরীর চর্বি জমা করতে শুরু করে, যা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কারণ
- আবেগের পরিবর্তন: মেজাজ দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে, বিরক্তি, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার অভিজ্ঞতা হতে পারে।
- আত্ম-সম্মানের সমস্যা: শারীরিক পরিবর্তন এবং সামাজিক চাপের কারণে আত্ম-সম্মানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরের চিত্রের সমস্যা: মেয়েরা তাদের শরীর সম্পর্কে অসন্তুষ্ট বোধ করতে পারে এবং ওজন কমানো বা তাদের চেহারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।
- স্বাধীনতার চাহিদা: মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে আরও বেশি স্বাধীনতা চাইতে পারে।
- বন্ধু এবং সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন: বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং রোমান্টিক সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
- প্রেম ও যৌনতার প্রতি আগ্রহ: বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং প্রেম ও যৌনতার ধারণা সম্পর্কে জানতে চায়।
- শিক্ষা ও কর্মজীবনের প্রতি চিন্তা: ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাবতে শুরু করে এবং শিক্ষা ও কর্মজীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
- সামাজিক চাপ: সহকর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চাপ অনুভব করতে পারে।
- পারিবারিক সমস্যা: পারিবারিক অশান্তি বা ঝগড়া মেয়েদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, খাদ্যাভ্যাসজনিত ব্যাধি ইত্যাদির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের কি সমস্যা হয়
বয়ঃসন্ধিকাল, যা সাধারণত ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের মধ্যে এটি সাধারণত মেয়েদের
ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। মেয়েদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের একটি উত্তম সময় ।
আর এই পরিবর্তনগুলি কখনও কখনও মেয়েদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে সেগুলি
সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বয়সন্ধিকালে মেয়েদের কি কি ধরনের শারীরিক ও মানসিক
সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের সমস্ত
তথ্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
শারীরিক পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে
- মাসিকের শুরু: এটি সাধারণত ১২ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে, তবে ১০ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় হতে পারে। মাসিক অনিয়মিত হতে পারে এবং ব্যথা, ক্লান্তি এবং মেজাজের পরিবর্তন সহ লক্ষণগুলি হতে পারে।
- স্তন বৃদ্ধি: স্তন বৃদ্ধি শুরু হয় এবং পূর্ণ আকারে পৌঁছাতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
- শরীরের চুলের বৃদ্ধি: লজ্জাঞ্চল, বগল এবং পাগুলিতে চুল বাড়তে শুরু করে।
- শরীরের গন্ধ পরিবর্তন: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরের গন্ধ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- উচ্চতা বৃদ্ধি: মেয়েরা এই সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাদের পূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছায়।
- ওজন বৃদ্ধি: শরীর চর্বি জমা করতে শুরু করে, যা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
- মুখের ত্বকের পরিবর্তন: ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বকের মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে
- আবেগের পরিবর্তন: মেয়েরা এই সময়ে মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, বিরক্তি, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার অভিজ্ঞতা পেতে পারে।
- আত্ম-সম্মানের সমস্যা: শারীরিক পরিবর্তন এবং সামাজিক চাপের কারণে আত্ম-সম্মানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরের চিত্রের সমস্যা: মেয়েরা তাদের শরীর সম্পর্কে অসন্তুষ্ট বোধ করতে পারে এবং ওজন কমানো বা তাদের চেহারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।
- স্বাধীনতার চাহিদা: মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে আরও বেশি স্বাধীনতা চাইতে পারে।
- বন্ধু এবং সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন: বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং রোমান্টিক সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া মেয়েদের জন্য কিছু টিপস
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম পান।
- চাপ মোকাবেলা করার স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে বের করুন, যেমন যোগব্যায়াম, ধ্যান বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো।
- আপনার শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার বাবা-মা, শিক্ষক বা অন্য বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কের সাথে কথা বলুন।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের কি পরিবর্তন হয়
বয়ঃসন্ধিকাল, সাধারণত ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে এটি সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে
ঘটে থাকে।ছেলেদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের এক উত্তম সময়। এই
পরিবর্তনগুলি কখনও কখনও ছেলেদের জন্য বিব্রতকর বা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে
সেগুলি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বয়সন্ধিকালে ছেলেদের কি কি ধরনের পরিবর্তনগুলো
লক্ষ্য করা যায়। সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের তথ্যগুলো আপনাকে
সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতে হবে।
শারীরিক পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে
- লিঙ্গাঙ্গের বৃদ্ধি: লিঙ্গাঙ্গ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং পূর্ণ আকারে পৌঁছাতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
- বীজপাত শুরু: ছেলেরা বীর্য উৎপাদন শুরু করে এবং স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা পেতে পারে।
- দাড়ির বৃদ্ধি: মুখ, দাঁড়ি এবং গোঁফে চুল বাড়তে শুরু করে।
- শরীরের চুলের বৃদ্ধি: লজ্জাঞ্চল, বগল এবং পাগুলিতে চুল বাড়তে শুরু করে।
- কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন: কণ্ঠস্বর ভেঙে গভীর হতে শুরু করে।
- উচ্চতা বৃদ্ধি: ছেলেরা এই সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাদের পূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছায়।
- ওজন বৃদ্ধি: পেশী বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
- মুখের ত্বকের পরিবর্তন: ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বকের মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে
- আবেগের পরিবর্তন: ছেলেরা এই সময়ে মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, বিরক্তি, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার অভিজ্ঞতা পেতে পারে।
- আত্ম-সম্মানের সমস্যা: শারীরিক পরিবর্তন এবং সামাজিক চাপের কারণে আত্ম-সম্মানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরের চিত্রের সমস্যা: ছেলেরা তাদের শরীর সম্পর্কে অসন্তুষ্ট বোধ করতে পারে এবং পেশী বৃদ্ধি বা তাদের চেহারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।
- স্বাধীনতার চাহিদা: ছেলেরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে আরও বেশি স্বাধীনতা চাইতে পারে।
- বন্ধু এবং সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন: বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং রোমান্টিক সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ছেলেদের জন্য কিছু টিপস
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম পান।
- চাপ মোকাবেলা করার স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে বের করুন, যেমন যোগব্যায়াম, ধ্যান বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো।
- আপনার শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার বাবা-মা, শিক্ষক বা অন্য বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্কের
বয়ঃসন্ধিকাল বয়সসীমা কত
বয়ঃসন্ধিকালের কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই কারণ এটি প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ভিন্ন
হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে বলা যায়, মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সের
মধ্যে শুরু হয় এবং ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে শেষ হয় ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল ৯
থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয় এবং ১৭ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে শেষ হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, বয়ঃসন্ধিকাল ৬ বছর বয়সেও শুরু হতে পারে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ২০
বছর বয়স পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।
বয়ঃসন্ধিকালের শুরু এবং শেষের কিছু লক্ষণ
মেয়েদের জন্য
- স্তন বৃদ্ধি
- যোনি লোমের বৃদ্ধি
- মাসিকের শুরু
- দ্রুত লম্বা হওয়া
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি
- চর্মে তৈলাক্ততা বৃদ্ধি
- মুখে ব্রণ
- শরীরের বিভিন্ন অংশে লোমের বৃদ্ধি
- মানসিক পরিবর্তন, যেমন মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, বিরক্তিবোধ, এবং আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি
ছেলেদের জন্য
- অন্ডকোষ বৃদ্ধি
- লিঙ্গ বৃদ্ধি
- মুখের লোমের বৃদ্ধি
- কণ্ঠস্বর ভাঙা
- শরীরে পেশী বৃদ্ধি
- দ্রুত লম্বা হওয়া
- চর্মে তৈলাক্ততা বৃদ্ধি
- মুখে ব্রণ
- মানসিক পরিবর্তন, যেমন মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, বিরক্তিবোধ, এবং আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি
মনে রাখবেন: প্রতিটি ব্যক্তি ভিন্ন, এবং তাদের বয়ঃসন্ধিকাল বিভিন্ন ধাপে এবং
বিভিন্ন গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। আপনার সন্তানের বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে আপনার যদি
কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল কখন শেষ হয়
মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল সাধারণত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে শেষ হয়। তবে, কিছু
ক্ষেত্রে এটি ১৪ বছর বয়সেও শেষ হতে পারে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়স
পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।
বয়ঃসন্ধিকালের শেষের কিছু লক্ষণ
- মাসিকের নিয়মিত হওয়া
- উচ্চতা বৃদ্ধি থেমে যাওয়া
- শরীরের আকৃতি স্থির হওয়া
- চর্মে তৈলাক্ততা কমে যাওয়া
- মুখের ব্রণ কমে যাওয়া
- মানসিক পরিবর্তন স্থিতিশীল হওয়া
- হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যাওয়া
- ফার্টিলিটি (সন্তান ধারণের ক্ষমতা) পূর্ণতা লাভ
মনে রাখবেন, প্রতিটি মেয়ের বয়ঃসন্ধিকাল আলাদাভাবে শেষ হয়। তাই, উপরের
লক্ষণগুলো সব মেয়েদের ক্ষেত্রে একইভাবে দেখা নাও যেতে পারে। আপনার মেয়ের
বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে, তাহলে একজন
ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ
- বয়ঃসন্ধিকাল শেষ হওয়ার মানে হল শারীরিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
- মানসিকভাবে পরিপক্ক হওয়ার জন্য আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
- নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা উচিত।
- কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বয়ঃসন্ধিকালের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
বয়ঃসন্ধিকাল, যা শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্কত্বে রূপান্তরের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া,
শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই
পরিবর্তনগুলি কিছু ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জের সাথে আসতে পারে যা ছেলে ও মেয়েরা
উভয়ের জন্যই প্রভাব ফেলতে পারে।
ছেলেদের জন্য নির্দিষ্ট ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অপুষ্টিকর খাবার, অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ।
- আগ্রাসন এবং সহিংসতা: ছেলেরা আগ্রাসী আচরণ এবং সহিংসতায় জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ: নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব।
- ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ: ধূমপান, মাদক সেবন, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অনিরাপদ যৌন আচরণ।
- যৌন সংক্রমিত রোগ (STD): সুরক্ষিত যৌনতা অনুশীলন না করার ফলে STD-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- অপরাধমূলক কার্যকলাপ: ছেলেরা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
- খাওয়ার ব্যাধি: মেয়েরা অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়া নার্ভোসার মতো খাওয়ার ব্যাধিতে ভুগতে পারে।
- ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগ: মেয়েরা বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের অভিজ্ঞতা লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন: মেয়েরা যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কার্যকরী কারণ
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কার্যকরী কারণ সম্পর্কে
বিস্তারিত সঠিক তথ্য জেনেছেন। আপনাদের সুবিধার জন্য বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের এবং
ছেলেদের কি কি ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যাগুলো হয়ে থাকে, সেগুলোর
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ১০টি কার্যকরী কারণ সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে এই
বিষয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করুন ধন্যবাদ।
এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url