অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি কি অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্রঃঅনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হলে, নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করুন।

অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমান সময়ে আমরা অনেক সময় অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা থাকে না। যার জন্য অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো কি কি রয়েছে সেসব বিষয়ে সঠিক তথ্য জানিনা। তাই আজকের আর্টিকেলটির সমস্ত জুড়ে থাকছে অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

যে তথ্যগুলো আপনার অনুসরণ করলে কিভাবে খুব সহজে সঠিক নিয়মে অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। অর্থাৎ অগ্রণী ব্যাংক আপনাকে অনলাইনে তাদের "অগ্রণী ই-অ্যাকাউন্ট" খোলার সুযোগ করে দিয়েছে।
এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে
 ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যান
প্রথমে আপনাকে অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইট: https://www.agranibank.org/ এ যেতে হবে।
"অগ্রণী ই-অ্যাকাউন্ট" অপশন নির্বাচন করুন
ওয়েবসাইটের মেনু থেকে "অ্যাকাউন্ট" অপশনে ক্লিক করুন এবং "অগ্রণী ই-অ্যাকাউন্ট" নির্বাচন করুন।
 "অ্যাকাউন্ট খুলুন" বাটনে ক্লিক করুন
এটি আপনাকে একটি নতুন পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে যেখানে আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
আবেদনপত্র পূরণ করুন
আবেদনপত্রে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের তথ্য, পেশাগত তথ্য এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পছন্দের ধরন (সঞ্চয়ী/চলতি) প্রদান করতে হবে।
 প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান করা কপি এবং একটি সাম্প্রতিক ছবি আপলোড করতে হবে।
 "সাবমিট" বাটনে ক্লিক করুন
আবেদনপত্র পূরণ করার পর, "সাবমিট" বাটনে ক্লিক করুন।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিশ্চিতকরণ
ব্যাংক আপনার আবেদনপত্র পর্যালোচনা করবে এবং আপনার মোবাইল নম্বরে এবং ইমেইল ঠিকানায় একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠাবে।
 ভিডিও ভেরিফিকেশন
আপনাকে একটি ভিডিও কলে অংশগ্রহণ করতে হবে যেখানে ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার পরিচয় যাচাই করবেন।
 অ্যাকাউন্ট সক্রিয়করণ
ভিডিও ভেরিফিকেশন সফল হলে, আপনার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করা হবে এবং আপনি একটি এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং পাসওয়ার্ড পাবেন।
লগইন এবং ব্যবহার
ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন এবং লেনদেন শুরু করুন।
বিঃদ্রঃ:
  • অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলী এবং নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
  • অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবস

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার

বর্তমান সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত অর্থ টাকা পয়সা নিরাপদে রাখার জন্য, বিশেষ করে আমরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে থাকি। আর অনেক সময় আমাদের টাকা পয়সা নিরাপদে রাখার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো তা অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না। যার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে আমরা সর্বদা কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভালো এ বিষয়ে নিয়ে 

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাতে চাই যে, নিজেদের টাকা পয়সা নিরাপদে রাখার জন্য সর্বদা অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট করা সবচেয়ে ভালো। কেননা অগ্রণী ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ব্যাংক একাউন্ট অফার করে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি।
কিছু জনপ্রিয় প্রকার হল
ব্যক্তিগত একাউন্ট
  • সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্টে আপনার টাকা জমা রাখলে আপনি সুদ পাবেন।
  • চলতি অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্ট লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এতে সুদ দেওয়া হয় না।
  • ডেমিট অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্টে শিশুদের জন্য টাকা জমা রাখা হয়।
  • ফিক্সড ডিপোজিটঃ এই অ্যাকাউন্টে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখেন এবং এর বিনিময়ে উচ্চতর সুদ পান।
ব্যবসায়িক একাউন্ট
  • কারেন্ট অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্ট ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্টে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টাকা জমা রাখতে পারে।
  • ডেমিট অ্যাকাউন্টঃ এই অ্যাকাউন্টে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মচারীদের জন্য টাকা জমা রাখতে পারে।
  • লোন অ্যাকাউন্টঃ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে।
অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://www.agranibank.org/) আপনি তাদের বিভিন্ন ধরণের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কোন ধরণের অ্যাকাউন্ট আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক চাহিদার উপর।
এছাড়াও, অগ্রণী ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের বিশেষায়িত অ্যাকাউন্টও অফার করে, যেমন
  • প্রবাসীদের জন্য অ্যাকাউন্ট
  • শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাউন্ট
  • বয়স্কদের জন্য অ্যাকাউন্ট
  • কৃষকদের জন্য অ্যাকাউন্ট
আপনার যদি কোন বিশেষ চাহিদা থাকে, তাহলে অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বা আপনার নিকটতম অগ্রণী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে আপনার জন্য উপযুক্ত অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারেন।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত অংশে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আপনাকে নিচের এই লিংকগুলো টাইপ করে সার্চ করুন। তাহলে আপনি আপনার পছন্দমত অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট ফরম পূরণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ফরমগুলো কিভাবে পূরণ করতে হবে পূরণ করতে হবে।

ব্যক্তিগত একাউন্টের জন্য
  • FC (Foreign Currency) Account Opening Form: বিদেশী মুদ্রায় লেনদেনের জন্য।
  • SB (Savings Bank) Account Opening Form: সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টের জন্য।
  • CD (Current Deposit) Account Opening Form: চলতি অ্যাকাউন্টের জন্য।
  • DD (Demand Draft) Account Opening Form: ডিমান্ড ড্রাফট অ্যাকাউন্টের জন্য।
ব্যবসায়িক একাউন্টের জন্য
  • CB (Current Account for Business) Account Opening Form: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য চলতি অ্যাকাউন্ট।
  • SB (Savings Bank) Account Opening Form for Business: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট।
  • OD (Overdraft) Account Opening Form: ওভারড্রাফ্ট অ্যাকাউন্টের জন্য।
এছাড়াও, আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ঠিকানা প্রমাণ (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল)
  • ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য: ট্রেড লাইসেন্স, TIN সার্টিফিকেট
  • আপনি অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://www.agranibank.org/) এই ফরমগুলো ডাউনলোড করতে পারবেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • ফরম পূরণ করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
  • সব কাগজপত্রের স্পষ্ট ফটোকপি জমা দিন।
  • আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে অগ্রণী ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসে যোগাযোগ করুন।
  • অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://www.agranibank.org/) একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
  • আপনার যদি অনলাইনে একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগে

বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগে সে বিষয়ে সম্পর্কে সঠিক তথ্য অনেকে আমরা জানি না। যার জন্য অনেক সময় দেখা যায় যে, অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার পরও আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বৈধভাবে অফিসে গ্রহণযোগ্য হয়নি। অর্থাৎ অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে

যেকোনো প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বা ব্যক্তিগত সঠিক তথ্য দিতে কোন একটি বিষয়ে কোনো কারণবশত আমরা ভুলে গেছি। তাই সঠিক নিয়মে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা ব্যক্তিগত তথ্য প্রয়োজন পড়ে, সেগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু জিনিসপত্র জমা দিতে হবে এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
ব্যক্তিগত তথ্য
  • আপনার পূর্ণ নাম
  • পিতা/মাতার নাম
  • ঠিকানা
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর
  • মোবাইল নম্বর
  • ইমেইল ঠিকানা (ঐচ্ছিক)
কাগজপত্র
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর মূল কপি ও ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)
  • ঠিকানা প্রমাণ (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল)
অন্যান্য
  • প্রাথমিক জমা (সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টের জন্য)
  • চেকবুক (ঐচ্ছিক)
নিয়ম
  • আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক ঠিকানা থাকতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই KYC (Know Your Customer) নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://www.agranibank.org/) একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনার যদি অনলাইনে একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন।
অনলাইনে একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে
  • একটি স্মার্টফোন/কম্পিউটার
  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর
  • একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • ফরম পূরণ করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
  • সব কাগজপত্রের স্পষ্ট ফটোকপি জমা দিন।
  • আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে অগ্রণী ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসে যোগাযোগ করুন।
  • আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাকে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
অগ্রণী ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের একাউন্ট অফার করে। আপনার চাহিদা অনুসারে আপনার জন্য উপযুক্ত একাউন্ট নির্বাচন করুন। অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় একাউন্ট খোলার নিয়ম ও শর্তাবলী ভিন্ন হতে পারে। আপনার নিকটতম অগ্রণী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানুন।

ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায়

ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর চেক বই পেতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর আমাদের চেক বই পেতে অনেক সময় লেগে যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট করার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। এই সমস্ত নিয়ম নীতি পর্যালোচনা করার পর সাধারণত

আমরা ব্যাংক একাউন্টের চেক বই পেয়ে থাকি। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর কতদিনে চেক বই পাওয়া যায় বা কি কি বিষয়গুলো নির্ধারণের মাধ্যমে চেক বই পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সাধারণত, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সময় নির্ধারণে ভূমিকা রাখে
ব্যাংকের নীতি
বিভিন্ন ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে চেক বই প্রদানের সময়সীমা নির্ধারিত হয়। কিছু ব্যাংক একাউন্ট খোলার সাথে সাথে চেক বই প্রদান করে, আবার কিছু ব্যাংক ৭ থেকে ১৫ দিন সময় নেয়।
 একাউন্টের ধরন
কিছু একাউন্টের ক্ষেত্রে (যেমন: স্যালারি অ্যাকাউন্ট) চেক বই দ্রুত প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
 আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন, তাহলে চেক বই পেতে দ্রুত সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে, শাখায় গিয়ে আবেদন করলে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
 ডাক ব্যবস্থা
চেক বই ডাকযোগে পাঠানো হলে, ডাক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে সময় লাগতে পারে।
সাধারণত, ব্যাংক একাউন্ট খোলার ৭ থেকে ২১ দিনের মধ্যে চেক বই পাওয়া যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
  • আপনার ব্যাংকের নীতিমালা সম্পর্কে জেনে নিন।
  • একাউন্ট খোলার সময় চেক বইয়ের জন্য আবেদন করুন।
  • আপনার ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করুন।
  • ডাকঘর থেকে চেক বই ট্র্যাক করুন।
  • যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেক বই না পান, তাহলে আপনার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।

অগ্রণী ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়

অগ্রণী ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যাবে তা নির্ভর করে আপনি যে ধরণের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তার উপর। অর্থাৎ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো যে, কোন কোন একাউন্ট সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি অগ্রণী ব্যাংক একাউন্টের ধারা বিবরণী সম্পর্কে।
কিছু সাধারণ অ্যাকাউন্ট এবং তাদের সর্বনিম্ন রক্ষণীয় টাকার পরিমাণ

  • সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ ৫০০ টাকা
  • কর্মচারী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ ১০০ টাকা
  • ছাত্র-ছাত্রী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ ২৫ টাকা
  • প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টঃ ১০০০ টাকা
  • চলতি অ্যাকাউন্টঃ ১০,০০০ টাকা
বিঃদ্রঃ:
  • উপরে উল্লেখিত তথ্য পরিবর্তন হতে পারে।
  • সর্বশেষ তথ্যের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইট (https://www.agranibank.org/) অথবা নিকটতম শাখায় যোগাযোগ করুন।
অন্যান্য বিষয়
  • কিছু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে, মাসিক গড় রক্ষণীয় টাকার পরিমাণ নির্ধারিত থাকে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার সময়, আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলার ফি এবং অন্যান্য খরচ দিতে হতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ

অগ্রণী ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের সেভিংস একাউন্ট অফার করে এবং প্রতিটির নিজস্ব ফি এবং চার্জ গঠন রয়েছে। আর অগ্রণী ব্যাংক সেভিং একাউন্ট চার্জ গুলো কি কি সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করুন। আপনি যদি কোন ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক সেভিং একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে মিসটেক করে ফেলেন তাহলে অগ্রণী ব্যাংক সেভিং একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনার সমস্যা হতে পারে। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি অগ্রণী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে।
কিছু সাধারণ সেভিংস একাউন্ট এবং তাদের সাথে যুক্ত কিছু চার্জ
সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট
  • অ্যাকাউন্ট খোলার ফি: ৳250
  • মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি: ৳10 (প্রথম ৳10,000 পর্যন্ত)
  • এটিএম কার্ড ফি: ৳150 (প্রতি বছর)
  • চেকবুক ফি: ৳100 (প্রতি 50 পাতা)
  • লেনদেনের উপর চার্জ:
  • শাখা: ৳25 (প্রতি লেনদেন)
  • এটিএম: ৳20 (প্রতি লেনদেন)
সুপার সেভিংস অ্যাকাউন্ট
  • অ্যাকাউন্ট খোলার ফি: ৳500
  • মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি: ৳25 (প্রথম ৳25,000 পর্যন্ত)
  • এটিএম কার্ড ফি: ৳150 (প্রতি বছর)
  • চেকবুক ফি: ৳100 (প্রতি 50 পাতা)
  • লেনদেনের উপর চার্জ:
  • শাখা: ৳25 (প্রতি লেনদেন)
  • এটিএম: ৳20 (প্রতি লেনদেন)
প্রিমিয়াম সেভিংস অ্যাকাউন্ট
  • অ্যাকাউন্ট খোলার ফি: ৳1000
  • মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি: ৳50 (প্রথম ৳50,000 পর্যন্ত)
  • এটিএম কার্ড ফি: ৳250 (প্রতি বছর)
  • চেকবুক ফি: ৳200 (প্রতি 50 পাতা)
  • লেনদেনের উপর চার্জ:
  • শাখা: ৳25 (প্রতি লেনদেন)
  • এটিএম: ৳20 (প্রতি লেনদেন)
বিঃদ্রঃ:
  • উপরে উল্লেখিত চার্জ পরিবর্তন হতে পারে।
  • সর্বশেষ তথ্যের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইট (https://www.agranibank.org/) অথবা নিকটতম শাখায় যোগাযোগ করুন।
  • কিছু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে, লেনদেনের সংখ্যা, টাকার পরিমাণ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে চার্জ পরিবর্তিত হতে পারে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার আগে, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের ফি এবং চার্জ তুলনা করে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করুন।

কত বছর বয়সে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়

বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য আপনার ন্যূনতম বয়স নির্ভর করে আপনি যে ধরণের হিসাব খুলতে চান তার উপর ভিত্তি করে। কেননা বর্তমান সময়ে ব্যাংক একাউন্টের হিসাব বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যা আমরা অনেক সময় এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত থাকে না। যার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব খোলার জন্য কত বছর বয়সের সময়সীমা বা কোন ধরনের হিসাবের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক একাউন্টের হিসাব খোলা হয়। তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব খোলার জন্য বয়সের সময়সীমা।
কিছু সাধারণ হিসাব এবং তাদের ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজনীয়তা
  • সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব: ১৮ বছর
  • ছাত্র-ছাত্রী সঞ্চয়ী হিসাব: ১২ বছর (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে)
  • প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব: ১৮ বছর
  • মাইনর অ্যাকাউন্ট:
  • সাধারণ: ১৮ বছরের কম বয়সী যেকোনো শিশু
  • স্কুল ব্যাংকিং: ৬ বছর
বিঃদ্রঃ:
  • উপরে উল্লেখিত বয়সের প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তন হতে পারে।
  • সর্বশেষ তথ্যের জন্য আপনার পছন্দের ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা নিকটতম শাখায় যোগাযোগ করুন।
  • মাইনর অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে, অভিভাবকের সম্মতি এবং কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।
কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬ বছর বয়সী শিশুরা স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাব খুলতে পারবে।
  • কিছু ব্যাংক মাইনরদের জন্য বিশেষ ধরণের সঞ্চয়ী হিসাব অফার করে যা তাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে আপনার পছন্দের ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনেক কিছু জেনেছেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি সঠিক নিয়মে অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিচিত কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের কিভাবে অনলাইনে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় তার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অব্যাহত করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এরোস বিডি ব্লগ ওয়েবসাইট নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url